জামালপুরের ১৭ গ্রামে আজ প্রথম রোজা


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৪ অপরাহ্ন, ১লা মার্চ ২০২৫


জামালপুরের ১৭ গ্রামে আজ প্রথম রোজা
ফাইল ছবি

দেশের আকাশে শুক্রবার কোথাও পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা না গেলেও রোজা রেখেছে জামালপুরের দুই উপজেলার ১৭ গ্রামের মানুষ। 


শনিবার (১ মার্চ) থেকে প্রথম রোজা শুরু করেন তারা। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে প্রতি বছরই ওই ১৭ গ্রামের মানুষ সিয়াম সাধনার মাস পালন করেন।


শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় এসব দেশে শনিবার প্রথম রোজা শুরু হয়। তাদের সঙ্গে মিল রেখেই ওই ১৭টি গ্রামের মানুষ রোজা শুরু করেছেন এবং পবিত্র ঈদুল ফিতরও সৌদির সঙ্গে মিল রেখেই উদযাপন করবেন।


আরও পড়ুন: ছাত্রলীগ নেতার বাসা থেকে ভারতীয় এনআইডি-বিদেশি পিস্তলসহ নারী গ্রেফতার


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার এশার নামাজের পর তারাবির নামাজ পড়ার মধ্যে দিয়ে পবিত্র রমাজান মাসের রোজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেছেন ওই ১৭টি গ্রামের প্রায় ৫ শতাধিক মানুষ। জেলার ইসলামপুর উপজেলার নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের রামভদ্রা, সাপধরীর ইউনিয়নের পশ্চিম মন্ডলপাড়া সরিষাবাড়ি উপজেলার বলারদিয়া, বাউসী, সাতপোয়া, পঞ্চপীর, সাঞ্চারপাড়, পাখাডুবি, বনগ্রাম, বালিয়া, হোসনাবাদ, পাটাবুগা, পুঠিয়ারপাড় ও বগারপাড়সহ ১৭টি গ্রামের মানুষ আজ প্রথম রোজা রেখেছেন। তবে ওই ১৭টি গ্রামের মানুষদের মধ্যে আজ কিছু অংশ রোজা রাখলেও বেশিরভাগ মানুষ রোজা রাখেনি, তারা প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী দেশের আকাশে চাঁদ দেখে রোজা রাখার কথা জানিয়েছেন।


ইসলামপুর উপজেলার রামভদ্রা গ্রামের সাঈম হোসেন বলেন, কয়েক বছর আগে যখন সৌদির সঙ্গে মিল রেখে রোজা শুরু করতাম তখন এলাকার অনেক মানুষ বিভিন্ন ধরনের কথা শোনাতেন। এখন আর কেউ কিছু বলেন না। আশা করি পবিত্র রমজান মাসের রোজা খুব ভালোভাবেই রাখতে পারবো।


আরও পড়ুন: পিকনিকের বাস থেকে মাথা বের করে প্রাণ গেল স্কুল ছাত্রের


সরিষাবাড়ি উপজেলার বলারদিয়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আজিম উদ্দিন বলেন, প্রতি বছরই আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে পবিত্র রমজান মাসের রোজা রাখি। ঈদুল ফিতরও আমরা সৌদির সাঙ্গে মিল রেখে একই দিন উদযাপন করি।


আধুনিক প্রযুক্তির এই যুগে সব খবর মুহূর্তের মধ্যেই পাওয়া যায়। আমাদের ধর্মীয় বিষয়ে সব কিছুই যখন সৌদি আরবকে অনুকরণ করা হয় সেহেতু ঈদ উদযাপন করলে দোষের কী। তাই সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ঈদ বা অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান করা দোষের কিছু নয় মনে করেন তিনি।


এমএল/