ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট, ভোগান্তীতে যাত্রীরা
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩:২৩ অপরাহ্ন, ৬ই জুন ২০২৫

পবিত্র ঈদুল আজহার আগের দিনেও সীমাহীন দুর্ভোগ পেরিয়ে বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখী মানুষ। ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের প্রায় ৩০ কিলোমিটারজুড়ে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে, যার ফলে শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সের যাত্রীদের পড়তে হয়েছে চরম ভোগান্তিতে। সেই কষ্ট ভুলে কেউ বাসের ছাদে, কেউ বা খোলা ট্রাক ও পিকআপে করেই ফিরছেন নাড়ির টানে।
শুক্রবার (০৬ জুন) দুপুর ১টা ৩০মিনিটের দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে এমন চিত্র দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: পশু কোরবানি ছাড়াই শরীয়তপুরের ৩০ গ্রামে ঈদুল আজহা পালন
মহাসড়কের সেতু এলাকা থেকে করটিয়া করাতিপাড়া বাইপাস পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। অতিরিক্ত গাড়ির চাপ, সেতুর উপর গাড়ি বিকল হওযাসহ বিভিন্ন কারণে বুধবার (০৪ জুন) ভোর ৪টা থেকে শুরু হওয়া এই যানজট শুক্রবার দুপুর পর্যন্তও অব্যহত রয়েছে।
এলেঙ্গা বাস স্টেশন, রাবনা বাইপাস, আশেকপুর বাইপাস ঘুরে দেখা যায়, মহাসড়কে মানুষের ঢল নেমেছে। যাত্রীবাহী বাস ছাড়াও ট্রাক, পিকআপ, বিভিন্ন সড়কের লোকাল বাস, লেগুনায় যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। মহাসড়কে বাসের চেয়ে ট্রাক ও পিকআপ বেশি দেখা যাচ্ছে। এ ছাড়া বাড়তি ভাড়া দিতে হচ্ছে যাত্রীদের। গণপরিবহন সংকট ও অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খোলা ট্রাক-পিকআপ ও বাসের ছাদে গন্তব্যে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ২৫ কিমি যানজট
পুলিশ, চালক ও যাত্রীরা জানান, দুই ঘণ্টার রাস্তা পার হতে সময় লাগছে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা। মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন যানবাহন বিকল হওয়া ও দুর্ঘটনার ফলে এই ভোগান্তি। অন্যদিকে যমুনা সেতুর ধারণক্ষমতা কম থাকায় স্বাভাবিকভাবে গাড়ি পারাপার করতে পারছে না। ফলে উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী গাড়িগুলো ভূঞাপুর দিয়ে ঘুরিয়ে ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শরীফ বলেন, মহাসড়কে একাধিক বাস বিকল হয়েছে। সেনাবাহিনী-পুলিশ যৌথভাবে যানজট নিরসনে কাজ করছে। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে যান চলাচল স্বাভাবিক হবে।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, যানজট নিরসনে আমরা নিরসলভাবে কাজ করছি।
এমএল/