কুতুবদিয়ায় এক ঘন্টার ব্যবধানে পুকুরে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯:২২ অপরাহ্ন, ১৩ই জুন ২০২৫

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় এক ঘন্টার ব্যবধানে পুকুরে পানিতে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহত শিশুদের বয়স ২ থেকে ৫ বছর।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে সাগরে নেমে বাবা-ছেলেসহ দুইদিনে ৪ জনের মৃত্যু
শুক্রবার (১৩ জুন) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রেজাউল হাসান।
নিহত শিশুরা হল কুতুবদিয়ার বড়ঘোপ অমজাখালী গ্রামের রোকনুজ্জামানের ২ বছর বয়সী মেয়ে রাফা, একই গ্রামের জসীম উদ্দিনের ছেলে তাসিব (২) ও উত্তর বড়ঘোপ গ্রামের মো. দেলোয়ারের মেয়ে তুহিন (৫)।
পুলিশ, স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে বড়ঘোপ অমজাখালী গ্রামের রোকনুজ্জামানের ২ বছর বয়সী মেয়ে রাফা বাড়ির পাশের পুকুরে ডুবে যায়। পরে তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। এরপর দুপুর আড়াইটার দিকে একই গ্রামের জসীম উদ্দিনের ছেলে তাসিব পুকুরে ডুবে যায়। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে তাকেও চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তারপর দুপুর আড়াইটার দিকে উত্তর বড়ঘোপ গ্রামের দেলোয়ারের মেয়ে তুহিন বাড়ির পাশের পুকুরে ডুবে যায়। তাকেও উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডা: রেজাউল হাসান বলেন, কুতুবদিয়া পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যুর হার বেশি। শুক্রবারও একঘন্টার ব্যবধানে পুকুরে ডুবে যায় ৩ শিশু। তাদেরকে হাসপাতালে আনার আগেই ৩ শিশুর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে রোদ আর সাগরের উত্তাপেও মাতোয়ারা পর্যটক
এদিকে কুতুবদিয়ার থানার পরিদর্শক মো. আরমান হোসেন বলেন, কুতুবদিয়ায় পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যুর জন্য মূলত অভিভাবকরাই অনেকটায় দায়ী। দেখা গেছে, পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেশি থাকায় অভিভাবকরা তেমন নজর দেন না শিশুদের প্রতি। আর প্রতিটি ঘরের পাশে পুকুর কিংবা ডুবা রয়েছে। শিশুদের প্রতি অভিভাবকদের নজর না থাকায় প্রায় ঘটছে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু।
এসডি/