রাঙামাটি-খাগড়াছড়িতে বৈসাবি উৎসব শুরু


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ পিএম, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


রাঙামাটি-খাগড়াছড়িতে বৈসাবি উৎসব শুরু

ভোরে চেঙ্গী, ফেনী ও মাইনী নদীতে ফুল দেওয়ার মধ্য দিয়ে খাগড়াছড়িতে শুরু হয়েছে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী প্রধান সামাজিক ও প্রাণের উৎসব ‘বৈসাবি’। ফুল বিজুকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) সকাল থেকে নদীর পাড়গুলো হাজারো তরুণ-তরুণীর মিলন মেলায় পরিণত হয়। বৈসাবি উৎসব উপভোগ করতে বিপুল সংখ্যক পর্যটক এখন খাগড়াছড়িতে।

পাহাড়ি সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণী, কিশোর-কিশোরী ও শিশুরা হল্লা করে ফুল তুলে গঙ্গা দেবীর উদ্দেশ্যে নদী-খালে ভাসিয়ে পুরাতন বছরের গ্লানি মুছে নতুন বছরের শুভ কামনায় নিজেদের পবিত্রতা কামনা করে। এছাড়া  ফুল দিয়ে ঘরের প্রতিটি দরজার মাঝখানে মালা গেঁথে সাজানো হয়। 

আজ চাকমা সম্প্রদায় ফুল বিজু পালন করছে। আগামীকাল বুধবার মূল বিজু আর  পহেলা বৈশাখ বা গজ্জাপয্যা পালন করবে। একই সাথে আগামীকাল ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের হারিবৈসু,বিযুমা,বিচিকাতাল। ফুল বিজু,মূলবিজু ও বিচিকাতাল নামে নিজস্ব বৈশিষ্টতায় এ উৎসবে আনন্দের আমেজ ছড়ায়। ত্রিপুরা ভাষায় এ উৎসবকে বৈসু ও চাকমা ভাষায় বিজু বলা হয়।

অপর দিকে আগামীকাল বুধবার মারমা সম্প্রদায় সাংগ্রাই উৎসবে ঐতিহ্যবাহী জলকেলি বা পানি খেলা। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বর্ষবরণের র‌্যালি হবে বৃহস্পতিবার।

ত্রিপুরা, মারমা ও চাকমা এই তিন সম্প্রদায়ের উৎসবের নাম একত্র করে বৈসাবি শব্দটির উৎপত্তি। 

পাশিপাশি তঞ্চঙ্গ্যা,বম, খিয়াং, লুসাই, পাংখোয়া, ম্রো, খুমি, আসাম, চাক ও রাখাইনসহ ১৩ ক্ষুদ্র নৃ-জনগোষ্ঠী তাদের ভাষা-সংস্কৃতি ও অবস্থানকে বৈচিত্র্যময় করে করে তুলতে প্রতি বছর চৈত্রের শেষ দিন থেকে  ‘বৈসাবি’ উৎসব পালন করে থাকে। বৈসাবি উৎসবের মধ্য দিয়ে পাহাড়ি-বাঙালির মধ্যে শান্তি-সম্প্রীতি ও ঐক্য আরো সুদৃঢ়  হোক এই প্রত্যাশা সকলের।  

এসএ/