উখিয়ার চাঞ্চল্যকর ডাকাতি ও খুনের ঘটনায় অস্ত্রসহ গ্রেফতার ২
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬:২০ অপরাহ্ন, ৩রা জুলাই ২০২৫

কক্সবাজারের উখিয়ায় চাঞ্চল্যকর ডাকাতি ও খুনের ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব; এসময় দেশিয় তৈরী চারটি বন্দুক ও দুইটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৪ টায় র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরুল হাসান।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় চাকুরিচ্যুত-সেনা সদস্য অস্ত্রসহ গ্রেফতার
গ্রেফতারকৃতরা হল, উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের পূর্ব নূরারডেইল এলাকার ওমর ফারুকের ছেলে আহমদ শরীফ ওরফে শরীফ্যা ডাকাত এবং রত্নাপালং ইউনিয়নের পশ্চিম রত্না এলাকার ছৈয়দ আলমের ছেলে রেজাউল করিম ওরফে বাবুল।
এদের মধ্যে আহমদ শরীফ ঘটনায় দায়ের মামলার এজাহারভূক্ত ১ নম্বর আসামী এবং অপরজন তার সহযোগী।
লে. কর্নেল কামরুল হাসান বলেন, গত ২৩ জুন উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব নূরারডেইল পাহাড়ী এলাকায় নুরুল আমিন ওরফে বাবুল এবং তার ভাই হাসান আলীর বাড়ীতে ৭/৮ জনের একদল মুখোশ পরিহিত ডাকাত হানা দেয়। পরে বাড়ীর লোকজনকে অস্ত্রের মুখে ডাকাতরা জিন্মি করে হাত-পা বেঁধে ফেলে। এসময় বাড়ী থেকে ডাকাতরা নগদ টাকা এবং স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে লুণ্ঠিত মালামাল নিয়ে যাওয়ার সময় বাড়ীর গৃহকর্তা ও তার ভাই হাসান আলী ডাকাতদলের মুখোমুখি হয়।
গ্রেফতাদের স্বীকারোক্তির বরাতে র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘ডাকাতদল দুই ভাইকে দেখা মাত্রই মারধর শুরু করে। এসময় স্বজনদের ডাকাত ডাকাত চিৎকারে নুরুল আমিন ডাকাত আহমদ শরীফকে চিনে ফেলে। এতে নুরুল আমিনের বগলের নিচে ডাকাতরা বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে ডাকাতরা লুণ্ঠিত মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। স্বজনরা গুলিবিদ্ধ নুরুল আমিনকে উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
ঘটনায় নিহতের স্ত্রীর বরাতে কামরুল হাসান বলেন, নুরুল আমিন মালয়েশিয়ায় প্রবাসে থাকার সময় স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব সহ নানাভাবে ডাকাত আহমদ শরীফ উত্যক্ত করতো। এতে রাজী না হওয়ায় নুরুল আমিনের স্ত্রীর উপর আগে থেকে ক্ষিপ্ত ছিল।
‘সেই সূত্রে ডাকাতির সময় নুরুল আমিনের স্ত্রী ডাকাত আহমদ শরীফকে চিনে ফেলেন। পরে ঘটনার পর গত ২৪ জুন তিনি বাদী হয়ে ডাকাত আহমদ শরীফকে প্রধান আসামী করে অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।’
র্যাবের ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক জানান, ঘটনাটি অবহিত হওয়ার পর থেকে মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে র্যাব অভিযান শুরু করে। বুধবার রাতে মামলার প্রধান আসামী আহমদ শরীফ নিজ বাড়ীতে অবস্থানের খবরে পুলিশের সহায়তায় র্যাবের একটি দল অভিযান চালায়। এতে বাড়ীটি ঘিরে ফেললে সন্দেহজনক দুইজন লোক পালানোর চেষ্টা চালায়। এসময় ধাওয়া তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার সংঘর্ষে প্রাণ গেল সাবেক ইউপি সদস্যর
‘পরে বাড়ীতে তল্লাশী চালিয়ে দেশিয় তৈরী ৪ টি লম্বা বন্দুক, ১ টি গুলি ও ১ টি গুলির খালি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।’
মামলার অপর আসামীদের গ্রেফতার এবং লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারে র্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান, লে. কর্নেল কামরুল হাসান।
এসডি/