শিক্ষার্থীদের দেখে ক্ষুব্ধ সার্জিস আলম, পরে কণ্ঠে ঝরে পড়ে আবেগ
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২:১৫ অপরাহ্ন, ৯ই জুলাই ২০২৫

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া বাজারে মঙ্গলবার জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঘোষিত ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির সূচনা অনুষ্ঠানে এক ব্যতিক্রমধর্মী মুহূর্তের সৃষ্টি হয়।
দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের অভ্যর্থনা জানাতে আশপাশের বিভিন্ন স্কুল থেকে ইউনিফর্ম পরা শিক্ষার্থীরা রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে যায়। করমর্দনের উদ্দেশ্যে তারা এগিয়ে এলে এনসিপির কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সার্জিস আলম হঠাৎ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “তোমাদের এখন স্কুলে থাকার কথা, ক্লাস ফেলে এখানে চলে আসা একদম ঠিক হয়নি। পড়াশোনা বাদ দিয়ে আমাদের দেখতে আসা তোমাদের কাজ না।”
তবে এই মন্তব্যের পরপরই সার্জিস আলমের কণ্ঠে আবেগ ঝরে পড়ে। কোমল ভঙ্গিতে তিনি বলেন, “তোমাদের ভালোবাসা দেখে হৃদয় কেঁপে উঠেছে। আমরা যেন এই ভালোবাসার প্রতিদান দিতে পারি—জীবন দিয়েও যদি লাগে, তাও দিতে চাই। তোমরা মন দিয়ে পড়াশোনা করো। আমাদের চেয়েও বড় হও, দেশ ও জাতির গর্ব হও।”
এই বক্তব্যে উপস্থিত সাধারণ মানুষ ও দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। অনেকেই মন্তব্য করেন, রাজনীতিতে এমন আন্তরিকতা ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি এখন খুব কমই দেখা যায়।
পরে সার্জিস আলমসহ কেন্দ্রীয় নেতারা গাড়িতে বসেই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় করেন এবং ‘জুলাই পদযাত্রা’র চুয়াডাঙ্গা অধ্যায়ের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আক্তার হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ, ডা. তাসনিম জারা, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
হাটবোয়ালিয়া থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে আলমডাঙ্গা শহরের আলতাইবা মোড় হয়ে চুয়াডাঙ্গা শহরের শহীদ হাসান চত্বর, দর্শনা ও জীবননগরে আরও তিনটি পথসভা আয়োজনের কথা রয়েছে।
দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির মাধ্যমে তারা দেশব্যাপী রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের বার্তা ছড়িয়ে দিতে চায়।
আরএক্স/
বিজ্ঞাপন
পাঠকপ্রিয়
আরও পড়ুন

শাপলা দলের প্রতীক না হতে পারলে ধানের শীষও হতে পারবেনা

নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার হবে: আমিনুল হক

ভারতের মদদে হাসিনার সরকার গুম-খুনের রাজত্ব চালিয়েছে: নাহিদ ইসলাম

শুধু শেখ হাসিনা নয়, আ.লীগেরও বিচার হওয়া উচিত: মির্জা ফখরুল
