ইশরাক ভাইয়ের মধ্যে ফ্যাসিস্টদের চরিত্র দেখতে পাই: সারজিস
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩:০২ অপরাহ্ন, ২১শে জুলাই ২০২৫

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বিএনপির মুখপাত্র ইশরাক হোসেনের সাম্প্রতিক বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে বলেছেন, "ইশরাক ভাইয়ের মধ্যে আমরা ফ্যাসিস্টদের চরিত্র দেখতে পাই।" তিনি অভিযোগ করেন, ইশরাক হোসেন আবেগের বশবর্তী হয়ে এমন ধরনের মন্তব্য করেছেন, যা একজন দায়িত্বশীল রাজনৈতিক নেতার কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
সোমবার (২১ জুলাই) সকালে চট্টগ্রাম থেকে খাগড়াছড়ির উদ্দেশে এনসিপির জুলাই পদযাত্রা শুরুর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সারজিস এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “‘এক ঘণ্টায় সরকার পতন ঘটানো’র মতো বক্তব্য একজন রাজনৈতিক নেতার পক্ষ থেকে কখনোই প্রত্যাশিত নয়। এই ধরনের বক্তব্য যারা দেন, তাদের মধ্যেই ফ্যাসিস্ট মানসিকতা দেখা যায়। আমরা চাই ইশরাক ভাই সেই ভূমিকায় থাকুন যেভাবে তাকে আগে ফ্যাসিস্টবিরোধী লড়াইয়ে দেখেছি।"
সারজিস অভিযোগ করেন, ইশরাক হোসেন তার সাম্প্রতিক বক্তব্যে অশালীন ভাষা ব্যবহার করে কিছু মানুষকে ‘উলঙ্গ করে মারার’ কথা বলেছেন, যা রাজনৈতিক শিষ্টাচারকে লঙ্ঘন করে। তিনি বলেন, “এটা নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বক্তব্যের চেয়েও নিচু মানের ছিল। আমরা যদি কারো কাছে ভালো কিছু প্রত্যাশা করি, তবে আমাদের আচরণেও তা প্রতিফলিত হওয়া উচিত।”
এনসিপি নেতা বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে সম্মানজনক সম্পর্ক গড়ে তোলা জরুরি। তিনি বলেন, “সবাইকে নিজের অবস্থান থেকে দায়িত্ব নিতে হবে। যারা নিজেদের বড় দল মনে করে, তাদের দায়ও বেশি। শুধুমাত্র বললে হবে না, দায়িত্ব নিতে হবে।”
তিনি অভিযোগ করেন, কক্সবাজারে এনসিপির কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে তাদের মঞ্চে আগুন দেওয়া হয়েছে, ব্যানার পোড়ানো হয়েছে এবং একজন ‘জুলাইযোদ্ধা’কে রক্তাক্ত করা হয়েছে।
ফেনীতে ছাত্রদলের একজন নেতার হুমকির প্রসঙ্গ টেনে সারজিস বলেন, “ফেনীতে ঢুকতে না দেওয়ার হুমকি আসলে আওয়ামী লীগের পুরনো রাজনৈতিক কালচারের প্রতিফলন। আমরা চাই এই রাজনৈতিক সহিংসতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে নতুন সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত হোক।”
তিনি বলেন, “কেউ যদি আমাদের রক্তাক্ত করে, তাও আমরা নতুন রাজনৈতিক কালচার প্রতিষ্ঠা থেকে পিছু হটবো না।”
আওয়ামী লীগের ঘোষিত হরতাল সম্পর্কে সারজিস আলম বলেন, “আওয়ামী লীগ এখন একটি নিষিদ্ধ দল। তাদের হরতালকে দেশের মানুষ গুরুত্ব দেয় না। তারা চোরাগোপ্তা ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে, যা আইনের আওতায় আনা দরকার।”
আরএক্স/