শরণখোলায় বস্তায় আদা চাষে কৃষকের মুখে হাসি
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২:২৪ পিএম, ১০ই আগস্ট ২০২৫

বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় বস্তায় আদা চাষ কৃষকদের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলেছে। ছায়াযুক্ত উঠান, পুকুরপাড় বা বাড়ির পরিত্যক্ত জমিতে এই আধুনিক চাষপদ্ধতিতে কম খরচে ভালো ফলন ও লাভ হচ্ছে।
উপজেলার খোন্তাকাটা, সাউথখালী, ধানসাগর ও রায়েন্দা ইউনিয়নের শতাধিক কৃষক এ পদ্ধতিতে যুক্ত হয়ে মৌসুমে প্রায় ১০ হাজার বস্তায় আদা চাষ করেছেন। কেউ কেউ একাই ২০০টির বেশি বস্তায় চাষ করছেন।
সাউথখালী ইউনিয়নের কৃষক রাজিব বলেন, ছোট জায়গায় কম খরচে আদা চাষ করে ভালো আয় হচ্ছে। এখন আশেপাশের অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
ধানসাগর ইউনিয়নের মো. সৈকত ইসলাম জানান, বাড়ির পেছনে ৭০০টি বস্তায় আদা লাগিয়েছি। প্রতিদিন সামান্য পানি দিলেই পরিচর্যা তেমন লাগে না। ফলন ভালো হচ্ছে।
খোন্তাকাটা ইউনিয়নের কৃষক সিফাতুল্লাহ বলেন, আমি একাই ২০০টি বস্তায় আদা লাগিয়েছি। নিয়মিত পানি দিই ও কৃষি অফিসের পরামর্শ মেনে চলি। ফলন দেখে আশাবাদী।
রায়েন্দা ইউনিয়নের নারী কৃষক রিপা বেগম বলেন, বাড়ির উঠানে ৫০০টি বস্তায় আদা চাষ করেছি। সকালে সামান্য পানি দিলেই হয়। এখন এই আয়ে সংসারের খরচ চালাতে পারছি।
খোন্তাকাটা ইউনিয়নের মো. সোবহান মৃধা ও মো. সবুর মৃধা বলেন, জমি ছাড়াই এই চাষ সম্ভব। রোগবালাই কম এবং পরিচর্যার ঝামেলাও কম। কৃষি অফিস থেকে নিয়মিত পরামর্শ পাচ্ছি।
উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় কৃষকদের প্রশিক্ষণ, বীজ ও কারিগরি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার জানান, বস্তায় আদা চাষে জমির মতো রোগবালাই হয় না। কীটনাশক, পানি ও সেচের প্রয়োজন অনেক কম। বাড়ির ছাদ, বারান্দা, উঠান বা ফাঁকা জায়গায়ও সহজে চাষ করা যায়।
এই আধুনিক পদ্ধতিতে নারী ও তরুণদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কৃষকরা নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে অন্যদেরও উৎসাহিত করছেন। কম খরচে অধিক লাভের এই পদ্ধতি শরণখোলার কৃষকদের জীবনে পরিবর্তনের নতুন পথ দেখাচ্ছে।
এসডি/
বিজ্ঞাপন
পাঠকপ্রিয়
আরও পড়ুন

যারা নির্বাচনে ভয় পায়, তারাই পিআর পদ্ধতি চায়: শামসুজ্জামান দুদু

মাগুরায় WeCARE প্রকল্পে বদলে যাচ্ছে গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা

শহীদ রাব্বির কবরস্থানে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য পুলিশ সুপারের দুঃখ প্রকাশ

পারিবারিক দ্বন্দ্বে বন্ধ পানি বের হওয়ার পথ, ভোগান্তিতে স্কুলের শতাধিক শিক্ষার্থী
