সুন্দরবন থেকে হরিণের মাংস ও কাঁকড়াসহ আটক ৮
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩:৫০ পিএম, ১৫ই আগস্ট ২০২৫

বায়জিদ হোসেন, মোংলা প্রতিনিধি: সুন্দরবনের হাড়বাড়ীয়া এলাকা থেকে হরিণের মাংস ও কাঁকড়াসহ ৮ হরিণ শিকারিকে আটক করেছে মোংলা কোস্ট গার্ড।
কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা (ঢাকা) লেফটেন্যান্ট রাফিদ-আস-সামি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (১৪ আগষ্ট) সন্ধ্যায় সুন্দরবনের হাড়বাড়ীয়ার দিঘির খাল সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালান কোস্ট গার্ড সদস্যরা।
এ সময় অভিযানকারীরা ওই এলাকা থেকে সাড়ে ১৩ কেজি হরিণের মাংস, একটি হরিণের মাথা, চারটি পা, একটি হরিণ ধরার ফাঁদ, জাল, ১৮ কেজি অবৈধ কাঁকড়া, পাঁচ লিটার বিষ (কীটনাশক) ও দুটি নৌকা জব্দ করেন।
এছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে হরিণ ও অবৈধ কাঁকড়া শিকারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৮ জন হরিণ শিকারিকে আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- মো ইয়াসিন (২৮) শরিফুল ইসলাম (৩৫), মোস্তফা শেখ (৪৫), ইউনুস শেখ (৩৮), ফারুক মোল্লা (৪২), মো শফিকুল হাওলাদার (৩৯), রবিউল (৩২) ও এনামুল শেখ (৩৭)। তারা সবাই উপজেলার চিলা ইউনিয়নের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। আটকদের বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আটকরা বর্তমান সুন্দরবনের নিষিদ্ধ সময়ে অবৈধভাবে বনে প্রবেশ করে মাছ ও কাঁকড়া শিকার করছিলেন বলে জানায় কোস্টগার্ড।
জব্দকৃত হরিণের মাংস, কাঁকড়া, বিষ, ফাঁদ, জাল ও নৌকাসহ আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বৃহস্পতিবার রাতেই বনবিভাগের চাঁদপাই ফরেস্ট অফিসে হস্তান্তর করেছে কোস্টগার্ড।
কোস্ট গার্ড কর্মকর্তা রাফিদ-আস-সামি বলেন, বন্যপ্রাণী হত্যা ও পাচার রোধের মাধ্যমে সুন্দরবনকে রঙ্গিন রাখার লক্ষে কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরণের অভিযান অব্যাহত রাখবে।
উল্লেখ্য, ১লা জুন থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনে মাছ-কাঁকড়াসহ সকল ধরণের বনজ সম্পদ আহরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন বনবিভাগ। এই সময়ে বনে প্রবেশের অনুমতি নেই জেলে-বাওয়ালী ও পর্যটকদের। এসময়টা মূলত বনের উদ্ভিদ, জলজ প্রাণী ও বন্যপ্রাণীর প্রজনন মৌসুম। তাই প্রজনন মৌসুম নির্বিঘ্ন করতেই বনবিভাগের তিন মাসের এই নিষেধাজ্ঞা।
আর এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্ত দল সুন্দরবনে প্রবেশ করে বিষ দিয়ে মাছ শিকার, ফাঁদ পেতে হরিণ নিধন, কাঁকড়া আহরণসহ বনজ সম্পদ পাচার ও ধ্বংস লিপ্ত রয়েছেন। তবে বিভিন্ন সময়ে ধরা পড়া দুর্বৃত্তদের দাবি, তারা বনবিভাগের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ম্যানেজ করেই বনে প্রবেশ করে থাকেন। আর বনবিভাগের দাবি, তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে বনে প্রবেশ করেন দুর্বৃত্তরা।
এসএ/