নওগাঁয় জিএমবি'র মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ পিএম, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২

নওগাঁয় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন ‘জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জিএমবি)’ মৃত্যুদন্ড সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সানোয়ার হোসেন (৪৪ কে গ্রেপ্তার করেছে এন্টি টেররিজম ইউনিট। গত শনিবার বিকালে জেলার পত্নীতলা উপজেলার ছোট চাঁদপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রবিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান এন্টি টেররিজম ইউনিট এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আখিউল ইসলাম। গ্রেপ্তারকৃত সানোয়ার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার চাঁদপাড়া গ্রামের এরশাদ আলীর ছেলে বলে জানা গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে এন্টি টেররিজম ইউনিট চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থানার সন্ত্রাস বিরোধী মামলায় মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামি সানোয়ার হোসেনের উপর নজরদারি রাখা হয়। এর এক পর্যায়ে জানা যায় সানোয়ার হোসেন পত্নীতলা উপজেলা চাঁদপুর এলাকায় নাম পরিবর্তন করে আব্দুল্লাহ নামে আত্মগোপন করে আছে। সেখানে তিনি রাজমিস্ত্রি ও ভেড়া লালন পালন করতো। নওগাঁর পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া বিপিএম এর সার্বিক সহযোগিতায় যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি জানান, গ্রেফতারকৃত মো. সানোয়ার হোসেন ২০০০ সালের পরে শায়খ আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে জেএমবির সদস্যভূক্ত হয়। তখন তিনি হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার হিসেবে নাচোল ও গোমস্তাপুরে জেএমবির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিল। ২০০৭ সালে ২৯ মার্চ শায়খ আব্দুর রহমানের কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি হলে বেশ কিছুদিন পর মাওলানা সাইদুর রহমান জেএমবির আমির হয়। পরবর্তীতে তারা তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। তাদের আন্তঃকোন্দলের কারণে ২০১২ সালের ২৬ এপ্রিল জেএমবি'র স্বঘোষিত আমির সালমানকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থানাধীন খুলশী বোরিয়া আমবাগান এলাকায় কৌশলে ডেকে নিয়ে গিয়ে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে হত্যা করে এবং তার মাথা ও দেহ দুই জায়গায় ফেলে দেয়। পরবর্তীতে গ্রেফতার আ. শাকুর যে শাকুর ও জাহাঙ্গীরের দেয়া তথ্য মতে মহানন্দা নদীর তীর থেকে পুঁতে রাখা সালমানের মাথাটি উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, ১০ বছর ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন থেকে তিনি পুরাতন জেএমবিকে সক্রিয় করার কাজও করে যাচ্ছিল। তার বিরুদ্ধে চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার নাচোল থানার সন্ত্রাস বিরোধী (মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত) ছাড়াও আর দুটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মুলতবি আছে। গত ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত সালমান হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত সানোয়ার হোসেন সহ ৩ জনের মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন।
সংবাদ সম্মেলনে নওগাঁর পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া বিপিএম সহ পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসএ/