তরমুজের গায়েই লেখা আছে চড়া দাম
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
মৌসুমী ফল তরমুজ। রমজান ও তাপদাহের কারণে রসালো ও পুষ্টিগুনে সমৃদ্ধ এ ফলটির চাহিদা বেশী। রমজানের শুরু থেকেই তরমুজের বাজার চড়া, দর সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে।
চট্টগ্রামের আনোয়ারার ক্রেতারা বলছেন ফলটি সিজনে নতুন ওঠায় দাম অনেক বেশী। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন স্থানীয় তরমুজ এখনও বাজারে আসেনি। বাইরে থেকে আসায় দাম বাড়তি।
ক্রেতা মালিক মিয়া বলেন, ফেরাউনের প্রথম ব্যবসা ছিলো তরমুজের ব্যবসা। ফেরাউন তরমুজ পিস হিসেবে কিনে এনে দাঁড়িপাল্লায় মেপে বিক্রি করতেন। মেপে অনেক দামে বিক্রি করার কারণে সেসময় সাধারণ মানুষ তরমুজ কিনে খেতে পারতেন না। আজ থেকে তিন হাজার বছর আগে ফেরাউন ঠিকই মারা গেছে। কিন্তু ফেরাউনের কিছু বংশধর মনে হয় বাংলাদেশে এখনো আছে। কারণ তারাও অতিরিক্তমুনাফা অর্জনের জন্য একই পদ্ধতি অবলম্বন করছে। আল্লাহ এদের হেদায়েত দিক।’
পবিত্র রমজান আর তীব্র গরমে বেড়েছে মৌসুমী ফল তরমুজের চাহিদা। এর সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দামও। পাইকারি বাজারেরতুলনায় অন্তত তিনগুণ বাড়তি দরে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। উৎপাদন পর্যায়ে প্রতি পিস তরমুজ ১০০ টাকা, পাইকারিবাজারে এসে তা ১৫০ টাকা ও খুচরা বাজারে এসে তা ঠেকেছে ৩ শ’ থেকে ৪শ’ টাকা।
খুচরা বাজার থেকে তরমুজ কিনতে আসা তাহমিনা খানম বলেন, 'এতো বছর যাবত তরমুজ কিনে আসছি কিন্তু কখনও কেজিদরে কিনিনি। গত বছর থেকে তরমুজ কিনতে গেলেই বলে কেজি হিসেবে নিতে হবে। যে কারণে কেজি প্রতি তারা ২/৩ টাকাকমিয়ে দিলেও দাম আগের থেকে অনেক বেশি পড়ে যায়। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর দাম একটু বেশিই নিচ্ছে'। বাজারনিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শ সাধারণ ক্রেতাদের।
চাতরী চৌমুহনী মোড়ের ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী শরীফ বলেন, তরমুজের ব্যবসা জুয়া খেলার মতো। পাকা ভেবে ক্রয় করে এনে ভেতরেদেখা যায় সাদা। তখন ক্রেতারা ফলটি নিতে চায়না। কাটা তরমুজটি ফেলে দিতে হয়। তাই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বেশী দামে বিক্রিকরতে হয়।
এসএ/