পরপর দুই ভাবীকে ধর্ষণ চেষ্টা, দেবরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


পরপর দুই ভাবীকে ধর্ষণ চেষ্টা, দেবরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

ময়মনসিংহের নান্দাইলে দেবর কর্তৃক পরপর দুই ভাবীকে ধর্ষণের চেষ্টা করার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

জানা যায়, ওই দুই গৃহবধু একই পরিবারের। তাদের স্বামীর বাড়ি নান্দাইল উপজেলার আচার গাঁও গ্রামের সিংদই কাগদ্বারা গ্রামে। অভিযুক্ত দেবরের নাম ওয়াসিম মিয়া (২২)। দুই গৃহবধুর স্বামী একজন সৌদি প্রবাসী ও অন্যজন ঢাকায় অবস্থান করায় দীর্ঘদিন যাবত সুযোগ র্খোঁজে আসছিল দেবর ওয়াসিম মিয়া। বিগত দুই মাস পূর্বে বাড়ির বড় ও ছোট গৃহবধূকে আলাদা আলাদাভাবে বিভিন্ন প্রলোভনে কু-প্রস্তাব দেয়। শুধূ তাই নয় উক্ত দুই গৃহবধূ কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন ধরনের হুমকিও প্রদর্শন করতে থাকে। পরে এ বিষয়টি বাড়ির লোকজন সহ গৃহবধূ তাদের শ্বশুরকে জানালে ওয়াসিম মিয়ার আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। উল্টো শ্বশুর তারঁ গৃহবধুদের হুমকী দেয়। 

একপর্যায়ে গত দুই সপ্তাহ পূর্বে (৩০শে মার্চ) রাতে ওয়াসিম মিয়া সুকৌশলে বাড়ির ছোট বধূর রুমে প্রবেশ করে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ও শ্লীলতাহানি ঘটায়। এতে গৃহবধূর ডাক চিৎকার করলে ওয়াসিম মিয়া দৌড়ে পালিয়ে যায়। লোক লজ্জার কারনে গৃহবধুর স্বামী বিষয়টি নিয়ে কোন সালিশ-দরবার করেনি। ফলে ওয়াসিম মিয়ার অত্যাচার আরও বেশি বেড়ে যায়। এর কিছুদিন পর (৩রা এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯ ঘটিকার সময় ওয়াসিম মিয়া বাড়ির বড় বধূ (দুই সন্তানের জননী)র রুমে প্রবেশ করে ঘুমন্ত গৃহবধুকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় গৃহবধুকে জাবরাইয়া ধরিলে গৃহবধুর ডাক চিৎকারে বাড়ির লোকজন আগাইয়া আসিলে দেবর ওয়াসিম দৌড়াইয়া পালিয়া যায়। এমনকি যাবার সময় গৃহবধূকে এ বিষয়ে কোন সালিশ দরবার না করার হুমকি প্রদান করে। দেবর ওয়াসিম মিয়ার এরকম শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে বাড়ির বড় গৃহবধূ বাদী হয়ে নান্দাইল মডেল থানায় একটি আভিযোগ দায়ের করেন। 

নান্দাইল মডেল থানার উপ-পরিদর্শক পূর্ণ চিচাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অজ্ঞাতকারনে মামলাটি নথিভূক্ত হয়নি, অন্যদিকে আসামী ওয়াসিম মিয়া ও তাঁর বাবা মোফাজ্জল হোসেন বাদীকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়া আসছে। 

এ বিষয়ে দুই গৃহবধূ আসামি ওয়াসিম মিয়ার নির্যাতন থেকে রেহাই পেতে উর্ধ্বতন পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

এসএ/