এ কেমন নিষ্ঠুরতা? প্রধানমন্ত্রীর কাছে ঘর চেয়ে তিন মাস গৃহবন্দী ৪ পরিবার


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


এ কেমন নিষ্ঠুরতা? প্রধানমন্ত্রীর কাছে ঘর চেয়ে তিন মাস গৃহবন্দী ৪ পরিবার

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর চাওয়ায় অভিযোগে চারটি  পরিবারকে গৃহবন্দী করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অধ্যবদি ১১০ গৃহবন্দী আছে পরিবার গুলো। তবুও পাচ্ছে না উপরস্থ  প্রশাসন কিংবা স্থানীয় কোনো জনপ্রতিনিধির সহায়তা। বসতবাড়ির প্রবেশপথে বাঁশের বেড়া ও টিন দিয়ে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে পরিবারগুলোকে। এভাবে কয়েক মাস যাবত গৃহবন্দী হয়ে জীবনযাপন করলেও এগিয়ে আসেননি কোনো জনপ্রতিনিধি বা প্রশাসনের কেউ। বাধ্য হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে পরিবারগুলো। 

ঘটনাটি ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিন আউরা গ্রামের। ভূক্তভোগী সফিকুল ইসলাম শাওন এ বিষয়ে ইতিমধ্যে একাধিক দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েও সুফল পায়নি। সফিকুল ইসলাম শাওন কাঠালিয়া প্রেস ক্লাবের অফিস সহকারী।

অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, আর্থিক সংকট ও জমি না থাকায় সরকারি ভুমিহীন ঘরের জন্য গত ১৭ই জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর বরাবর আবেদন করে সফিকুল ইসলাম শাওন। আবেদনটি প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-২ ওসমান গনি কাঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ফরওয়ার্ডিং করে। এরপরপরই বিষয়টি নিয়ে ক্ষিপ্ত হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুফল চন্দ্র গোলদার। এ ঘটনায় সফিকুল ইসলামের স্বজনদের গৃহবন্দীসহ শাওনকে মামলা হামলার ভয় দেখিয়ে এলাকা ছারা করছেন ইউএনও সুফল চন্দ্রঁ গোলদার এমনটা উল্লেখ রয়েছে অভিযোগে ।

সফিকুল ইসলাম শাওন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে ঘরের জন্য আবেদন করি। তাই ইউএনও স্যার আমাকে হয়রানী করছে। আমার আত্বীয় স্বজনদের গৃহবন্দী করছে আমাকে মামলা হামলার ভয় দেখিয়ে এলাকা ছারা করছে। এ বিষয়ে আমি ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক ও বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করি। এছাড়াও ২৬ই জানুয়ারী ২৩ তারিখ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কার্য়ালয় লিখিত আবেদনসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করে এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান পাইনি।

কাঠালিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো: বাদল হাওলাদার বলেন, আমাদের প্রেস ক্লাবের অফিস সহকারী সফিকুল ইসলাম শাওন ভুমিহীন ঘর না পাওয়া এবং চারটি  পরিবার গৃহ বন্ধি করায় এটা কাঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা এটা ঠিক করেননি তিনি উপজেলার প্রশাসনের প্রধান ব্যক্তি হিসেবে এরকম কাজ তার দ্বরা সচেতন মহল কাম্য করে না। তার উচিত সমস্যা সমাধান করা সেটা না করে তিনি  ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে চারটি  পরিবারকে গৃহবন্দীর মতো করে রেখেছে, এটা মানবাধিকার লঙ্ঘন।
 
প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিব তালুকদার জানান, কাঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা সুফল চন্দ্রঁ গোলদার আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটায়, ব্যাল্য বিবাহর নিউজ করাতে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে  জানতে চাইলে,  তিনি বলেন আশ্রয় প্রকল্প ঘর  কিছু লোক যাদের জমি আছে তারা-ও পেয়েছে এবং আমার সাথে বাহিরের  লোকেরাও কাজ করে তারা-ও পেয়েছে, আমরা আশ্রয় প্রকল্প ঘরের জন্য টাকা নিলেও ঘর দিচ্ছি।
 
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক জোহর আলী জানান, সফিকুল ইসলাম শাওনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে  একটি ইমেইল আসছে আমাদের কাছে মুখ্য সচিবের একান্ত সচিবের কাছ থেকে। সফিকুল ইসলাম শাওন ভুমিহীন ঘর পাবে তবে ঘরের জন্য কোনো টাকা নেয়া হয়েছে কিনা তা জানা নেই।

কাঠালিয়া সরকারি তোফায়েল হোসেন  মানিক মিয়া  ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক মোঃ নাসির উদ্দীন বলেন,  দহ্মিণ আউরা  যার ভুমিহীন ঘর পাইছে  তাদের ৬৫ শতাংশ জমি আছে, তারা কি করে ভুমিহীন হলো জানতে চায় কাঠালিয়া বার্সির কাছে।

কাঠালিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল নাহিদ সিকদার সাংবাদিকদের বলেন, বতর্মান ইউএনও সাথে কথা বলা যায় না, আমাকে কেও হুমকি প্রদান করেছেন আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাছে এই দুনীতি ঘুষখোর সঠিক বিচার চাই।

কাঠালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এমাদুল হক মনির বলেন, বতর্মান ইউএনও'র দুনীতি ঘুষ খাওটা  করাটা তার নেশা ও পেশা,  সাধারণ জনগণ তার সাথে কথা বলতে গেলে বিভিন্ন মিথ্যা মামলার হুমকি দেখায়  ইউএনও। 

কাঠালিয়া উপজেলার ইউনিয়নের দহ্মিন আউরা গ্রামের নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক সে বলেন বতমান ইউএনও আমাকে আশ্রয় প্রকল্প ঘর চাওয়া সে আমাকে তার সাথে রাত কাটানোর কথা বলে আমি লজ্জায় তার অফিস থেকে বেরিয়ে আসি।

এসএ/