থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, ৭ দিনেও খোঁজ মেলেনি গৃহবধূ মোহনার


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, ৭ দিনেও খোঁজ মেলেনি গৃহবধূ মোহনার

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগের সাত দিন অতিবাহিত হলেও এখনও নিখোঁজ গৃহবধূ মোহনাকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ৪নং ইছাপুর ইউনিয়নের সান্ধানপুর গ্রামের মসজিদ বাড়িতে। 

এ ঘটনায় গৃহবধূর মা কামরুন নাহার বাদী হয়ে মোহনার স্বামী আবদুর রহমান, শ্বশুর আবুল খায়ের, শাশুড়ি রোকেয়া বেগম ও খালাতো দেবর ফয়সালসহ ৪ জনকে আসামি করে রামগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের খবর পেয়ে একই দিনে মোহনার শাশুড়ি রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে থানায় আরেকটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। রামগঞ্জ থানা পুলিশের এসআই মোশাররফ ও দিবাকর রায় এবং এএসআই হাবিব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৪নং ইছাপুর ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের চৌকিদার বাড়ির মৃত মিজানুর রহমানের একমাত্র মেয়ে মোহনার সঙ্গে একই ইউপির সান্ধানপুর গ্রামের মসজিদ বাড়ির আবুল খায়েরের প্রবাসী ছেলে আবদুর রহমানের পারিবারিক ভাবে গত ৫ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের ৪-৫ পর থেকে স্বামী শ্বশুর, শাশুড়ি, ভাসুর, খালাতো দেবর বাপের বাড়ি থেকে ফার্নিচারসহ ও স্বামী রহমান বিদেশে যাওয়ার অজুহাত দেখিয়ে ৪ লাখ টাকা দেয়ার জন্য মোহনার ওপর মানসিক নির্যাতন শুরু করে। এক পর্যায়ে মোহনা এসব নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে শিবপুর বাপের বাড়িতে চলে আসে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৪ই এপ্রিল রাতে মোহনার স্বামী মালয়েশিয়া থেকে ফোন করে স্ত্রী মোহনাকে সান্ধানপুর স্বামীর বাড়ি চলে যেতে বলে। যদি না যায় তাহলে তাকে তালাকের হুমকি দেয়া হয়। মোহনা স্বামীর কথামত ১৪ই এপ্রিল বিকালে সান্ধানপুর চলে যায়। পরে রাতে মোহনা খাওয়া শেষে নিজ শয়ন কক্ষে ঘুমানোর পর থেকে আর কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।

এ ব্যাপারে গৃহবধূ মোহনার মা কামরুন নাহার জানান, জামাই আবদুর রহমান বিদেশ থেকে ফোনে জোরপূর্বক আমার মেয়েকে সান্ধানপুর নিয়ে গেছে। রাত ৯টায় মেয়ে আমাকে ফোন দিয়ে বলে ভাত খাওয়ার পর থেকে পেটে প্রচ- ব্যথা করছে। এই বলে ফোন কেটে দেয়। পরে তার শাশুড়ি রোকেয়া ভোররাতে ফোন দিয়ে বলে মোহনাকে পাওয়া যাচ্ছে না।

গৃহবধূ মোহনার শাশুড়ি রোকেয়া বেগম জানান, রাতের খাবার শেষে ঘুমানোর পর আমরা তাকে খুঁজে পাচ্ছি না। তাকে না পেয়ে আমরা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছি।

রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ এমদাদুল হক জানান, দু’পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।

এসএ/