গরমে পুষ্টিকর ইফতারি কেমন হবে
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
রোজাদারদের পানিশূন্যতা, লবণশূন্যতা ও অ্যাসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা যেন না হয়, সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। ছবি: ইন্টারনেট
রোজাদারদের পানিশূন্যতা, লবণশূন্যতা ও অ্যাসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা যেন না হয়, সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। ছবি: ইন্টারনেট
গ্রীষ্মে রোজা হওয়ায় শরীর ক্লান্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। একদিকে তীব্র গরমে শরীর থেকে পানি বের হয়ে যায়, অন্যদিকে সারা দিন রোজা রাখার পর শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি হয়। এ জন্য ইফতার হওয়া চাই পুষ্টিকর।
সূর্যের তেজ যতই বাড়ুক পবিত্র মাহে রমজানে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য রোজা রাখবেন এবং বেশি বেশি ইবাদতে মশগুল থাকবেন। তাই রোজাদারদের পানিশূন্যতা, লবণশূন্যতা ও অ্যাসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা যেন না হয়, সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
ইফতারে অতিভোজন করবেন না। অতিরিক্ত তেল, মসলাযুক্ত ভাজাভুজি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন
শরীরের পানি শূন্যতা পূরণ করতে ইফতার থেকে সাহরি অবধি দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান করবেন। ইফতারে খেজুর দিয়ে শুরু করার পর স্বাস্থ্যকর পানীয় পান করুন। যেমন খেজুর-পেস্তার শরবত, মাল্টার জুস, শসা ও লেবুর শরবত, কলা-দুধের স্মুদি, কাঁচা আমের শরবত, পাকা আমের লাচ্ছি, তরমুজের শরবত, বাঙ্গির শরবত, বেলের শরবত, টক দই, ঘোল, এবং ইসবগুল-তোকমার শরবত খেতে পারেন।
ইফতারে যা খাবেন তা যেন তুলনামূলক ঠাণ্ডা ও সহজপাচ্য হয়
ফলের জুস করার সময় শুধু পানিটা না নিয়ে আশসহ রস খাবেন। এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হবে না। ডায়াবেটিসের রোগীরা শরবতে বিকল্প চিনি ব্যবহার করবেন বা ডাবের পানি পান করতে পারেন। ইফতারে ভেজানো চিড়া দিয়ে দই-কলা খেলে পানিশূন্যতা রোধ হয়। মনে রাখবেন ইফতারে যা খাবেন তা যেন তুলনামূলক ঠাণ্ডা ও সহজপাচ্য হয়।
ইফতারে এমন কিছু খাবেন না, যা পানিশূন্যতা, লবণশূন্যতা ও অ্যাসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা তৈরি করে
ইফতারে অতিভোজন করবেন না। অতিরিক্ত তেল, মসলাযুক্ত ভাজাভুজি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন। রেস্টুরেন্টের তেহারি, বিরিয়ানি, হালিম, কাটলেট, কাবাব না খাওয়াই ভালো। কারণ, এতে পেটের সমস্যা, পেটে জ্বালাপোড়া, মাথাব্যথা, দুর্বলতা, আলসার, অ্যাসিডিটি এবং হজমের সমস্যা হতে পারে। অল্প তেলে ছোলা সেদ্ধ, আলুবড়া, ডালবড়া, ডিমের চপ খেতে পারেন, তবে প্রতিদিন একটি বা দুটির বেশি নয়। এগুলো দিয়ে মুড়ি মাখাও খেতে পারেন শসা, ধনেপাতা, টমেটো, পেঁয়াজ, আদা কুঁচি, পুদিনা পাতা, কাঁচা মরিচ দিয়ে। রুচি পরিবর্তনের জন্য মাঝেমধ্যে জিলাপি খাওয়া যেতে পারে, কিন্তু কম।
জি আই/