নারীদের দিয়ে ফাঁদ পেতে টাকা আদায়, চক্রের ৫ সদস্য আটক
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লায় থেকে ‘হানি ট্র্যাপ’ (নারীদের দিয়ে ফাঁদ পেতে ভুক্তভোগীকে জিম্মি করে টাকা আদায়) চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে র্যাব।সোমবার দিবাগত রাতে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার বিভিন্ন এলাকা থেকে চক্রটির নারীসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। এসময় তাদের প্রতারণার কাজে ব্যবহার করা র্যাবের জ্যাকেট উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন, কুমিল্লার কোতোয়ালি থানার দক্ষিণ চর্থা গ্রামের মৃত শাহজাহান মিয়ার ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন (৩৫), সদর দক্ষিণ থানার দিশাবন গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে জুম্মন মিয়া (২৫), চান্দিনার অম্বলপুর গ্রামের মৃত আলী আজগরের মেয়ে জোসনা আক্তার (২৫), জেলার কোতয়ালী থানার আড়াইউড়া গ্রামের মুছা মিয়ার মেয়ে হাসি আক্তার (২৪) এবং তার আপন ছোট মিন্নি আক্তার (১৮)।
র্যাব -১১ উপ-পরিচালক কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন জানান, নারীদের ব্যবহার করে ফাঁদে ফেলে পাঁচ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ এলে র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে। পরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধান ও জিজ্ঞাসাবাদে আটক মাছ ব্যবসায়ী জুম্মন মিয়া জানান, মাছ ব্যবসার সুবাদে বিভিন্ন পেশার মানুষের সঙ্গে তিনি ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতেন। পরে সহজ-সরল ব্যক্তিদের টার্গেট করে নারী সঙ্গমের ব্যবস্থা করতেন। এরপর একান্তে সময় কাটানোর সময় চক্রের অন্য সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হয়ে স্থির ও ভিডিও চিত্র ধারণ করে নিজেদের র্যাব সদস্য পরিচয় দিতো। এসময় তারা ভুক্তভোগী পুরুষটির সঙ্গে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিতো। এরপর ভুক্তভোগীকে স্থিরচিত্র ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া ও মামলার ভয় দেখিয়ে ধাপে ধাপে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতো।
চক্রটির সদস্যদের বরাত দিয়ে র্যাব কর্মকর্তা জানান, তারা বিভিন্ন সময়ে র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লা ক্যাম্পে অভিযোগ দেওয়ার নাম করে ভেতরে প্রবেশ করে বিভিন্ন ভুক্তভোগীকে ফোন করতো। ভুক্তভোগীরা র্যাব অফিসের সামনে এলে তাদের একজন ভেতর থেকে বের হয়ে তাকে বলতে স্যার ব্যস্ত আছে, পরে কথা বলবে। তারা বিভিন্ন সময় অফিসের বাহিরে সেলফি তুলে নিজেদের র্যাব হিসেবে বিশ্বাস করানোর জন্য সেগুলো ভুক্তভোগীদের পাঠাতো। অনেক ভুক্তভোগী র্যাব অফিসের ভেতরে টাকা দিতে চাইলে চাইলে সেখানে পাঁচগুণ টাকা বেশি দিতে হবে বলে ভয় দেখিয়ে অন্য কোথাও থেকে টাকা নিয়ে নিতো।
মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন আরও জানান, প্রতারক চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালি থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। অন্য সদস্যদের ধরতে অভিযান চলছে।