ঠাকুরগাঁওয়ে কবরস্থানেই নির্মাণ হচ্ছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর!


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


ঠাকুরগাঁওয়ে কবরস্থানেই নির্মাণ হচ্ছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর!

ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন-এর সুপারিশকে উপেক্ষা করে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দর ইউনিয়নের শিংপাড়া কবরস্থানের জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়ি নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।

বুধবার (১২ মে) উপজেলা প্রশাসনের চিঠি নিয়ে এক ঠিকাদারের লোকজন সেই কবরস্থানে স্থানীয়দের রোপনকৃত দশলাখ টাকার অধিক মূল্যমানের গাছ কাটা শুরু করলে সেখানে গাছের ঠিকাদার ও স্থানীয়দের মধ্যে মারমুখী অবস্থার সৃষ্টি হয়। এসময় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের আশ্বাসে পরিস্থিতি সাময়িক শান্ত হলেও উত্তেজনা বিরাজ করছে। 

শিংপাড়া কবরস্থান উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আফাজ উদ্দিন জানান, ‘দুই একর ৮৭ শতক জমি জুড়ে থাকা শিংপাড়া কবরস্থানটি অনেক পুরাতন ঐতিহ্যবাহী খাস খতিয়ান ভুক্ত কবরস্থান। সম্প্রতি সদর উপজেলা প্রশাসন এই কবরস্থানের জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়ি নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করলে আমরা এলাকাবাসী কবরস্থান বাদ দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহলে অনুরোধ জানাই। এর প্রেক্ষিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন ও জেলা প্রশাসক মাহাবুবুর রহমান কবরস্থান বাদ দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে বলে সুপারিশসহ আশ্বাস প্রদান করেন। কিন্ত বুধবার আকস্মিকভাবে এই কবরস্থানে আশ্রায়ণ প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া হিসেবে গাছ কাটার জন্য এক ঠিকাদার সেই কবরস্থানে ২০ বছর আগে স্থানীয়দের রোপনকৃত দশলাখ টাকার অধিক মূল্যমানের গাছ কাটা শুরু করেন। এসময় সেখানে গাছের ঠিকাদার ও স্থানীয়দের মধ্যে মারমুখী অবস্থার সৃষ্টি হয়। এসময় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলে এলাহী মুকুট চৌধুরীর আশ্বাসে পরিস্থিতি সাময়িক শান্ত হয়।’ 

তিনি আরও জানান, ‘কবরস্থানের উন্নয়নের জন্য সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির আওতায় ২০০২ সালে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সাথে ননজুডিয়াশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তি সম্পাদন করে কবরস্থান উন্নয়ন কমিটি বলদ, বনজ ও ঔষধি গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির দুই হাজার গাছ রোপনসহ যত্ন করে গাছগুলো বড় করে তোলে। যার বর্তমান বাজার মূল্য দশলাখ টাকার অধিক হলেও উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় ভূমি অফিস স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয় কবরস্থান উন্নয়ন কমিটিকে কিছু না জানিয়ে গাছগুলো কেটে নিতে শুরু করেছে। স্থানীয় সংসদ সদস্যের সুপারিশকেও তারা কোন গ্রাহ্য করছে না।’

এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মোহাম্মদ সামুসুজ্জামানকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, ‘কবরস্থানে আশ্রায়ণ প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত এখনও চুড়ান্ত হয়নি। সরকারি বিধি মোতাবেক সেখানকার গাছ কাটার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’

এসএ/