প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে ফজলে রাব্বি ওরফে সোলাইমান (২৪) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। মঙ্গলবার (২৪ মে) দিবাগত রাত ২ টার দিকে পৌর এলাকার চক্ষু হাসপাতালপাড়ার ভাড়া বাড়িতে এঘটনা ঘটে। পরে পরিবারের সদস্যরা দরজা ভেঙ্গে ফজলে রাব্বিকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

নিহত ফজলে রাব্বি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বোয়ালমারি গ্রামে টুলু মিয়ার ছেলে। তিনি চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল। পাশাপাশি বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র সনো সেন্টারে এক্স-রে বিভাগে কর্মরত ছিল। তিন ভায়ের মধ্যে ফজলে রাব্বি ছিল সবার ছোট।

বাবা টুলু মিয়ার চাকরির সুবাদে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার চক্ষু হাসপাতালের পিছনে ভাড়া বাড়িতে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন৷ সেই বাড়িতেই আত্মহত্যা করে ফজলে রাব্বি। 

পরিবারের সদস্যরা জানায়, রাত ২ টার দিকে অজ্ঞাত একটি নারী আমাদের ফোন করে ফজলে রাব্বির ফলাই ফাঁস দিয়েছে বলে তার ঘরে যেতে বলে। আমরা গিয়ে দেখি দরজা বন্ধ। প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় দরজা ভেঙ্গে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। পরে জানতে পারি প্রেমিকার সাথে মনমালিন্যের কারণে ভিডিও কলেই আত্মহত্যা করছে রাব্বি।  

পরিবারের কাছে ফোন দেয়া নাম্বারে কথা হয় দৈনিক জনবাণীর। অপরপ্রান্ত থেকে বলা হয় এই নাম্বারটি চুয়াডাঙ্গার শুভ নামে এক তরুণীর। শুভ ঢাকায় একটি ছাত্রী মেসে থাকে। এই ছাত্রী মেসের থাকা শুভ'র সিনিয়র আপু। শুভ ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। শুভ ফজলে রাব্বির প্রেমিকা। রাতে তারা ভিডিও কলে কথা বলছিল। হঠাৎ তাদের মাঝে মনমালিন্য হলে ভিডিও কলে রেখেই ফজলে বাব্বি তার ঘরে সিলিং ফ্যানের সাথে গলাই ফাস দেয়৷ পরে শুভ'র এক বান্ধবির মাধ্যমে ফজলে রাব্বির পরিবারের নাম্বার সংগ্রহ করে খবর দেয়া হয়। 

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সোহরাব হোসেন দৈনিক জনবাণীকে বলেন, রাত ২ টার দিকে ফজলে রাব্বি নামে এক যুবকে হাসপাতালে নিয়ে আসে পরিবারের সদস্যরা। পরিক্ষা-নিরিক্ষার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ হিম ঘরে রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হবে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাঈদ দৈনিক জনবাণী বলেন, ভিডিও কলে কথা বলার সময় এক যুবক গলাই ফাস দিয়েছে বলে জেনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি দল পাঠানো হয়েছে। উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। 

এসএ/