আমার সাবেক স্বামী আমাদের নামে মিথ্যা অপবাদ ও কুৎসা রটাচ্ছে


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


আমার সাবেক স্বামী আমাদের নামে মিথ্যা অপবাদ ও কুৎসা রটাচ্ছে

আমার সাবেক স্বামী সুকুমার বড়ুয়া সুকু আমার স্বামী রিমন বড়ুয়াকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ক্রসফায়ারের নাটক সাজিয়ে ও আমার সাথে অনৈতিক সম্পর্কের মিথ্যা অপবাদ রটিয়ে, আমার নামে বিশ লক্ষ ও টাকা ও ২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে আসার নাটক সাজিয়ে আমাদের নামে মিথ্যা কুৎসা রটনা করছেন। রবিবার (২৯ মে) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন মৌসুমী বড়ুয়া নামে এক নারী। 

তিনি লিখিত বক্তব্যে আরো অভিযোগ করেন, বিবাহ পরবর্তীতে সংসার করা কালীন সন্দেহের বশে আমাকে বিভিন্ন সময়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত। উক্ত কারণে আমার সাবেক স্বামী সুকুমার বড়ুয়া সুকুর সংসার জীবন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় বুঝতে পেরে বিগত ২২শে ফেব্রুয়ারী ২২ইং লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করি কিন্তু লিগ্যাল নোটিশ প্রাপ্তির পরও কোন আপোষ মিমাংসার ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় গত ১ মার্চ ২০২২ইং তে বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ সম্পন্ন করি। বিবাহ বিচ্ছেদের পর ৮ই মার্চ ২২ইং তারিখ আমি আমার বান্ধবীর বাসায় অবস্থান কালীন বিকালের দিকে হঠাৎ করে আমার সাবেক স্বামী সুকুমার বড়ুয়া সুকু আমার বান্ধবীর বাসায় এসে আমাকে অতর্কিতভাবে হামলা করে শারীরিকভাবে আঘাত করে আমাকে আহত করে, পরের দিন অর্থাৎ ৯ই মার্চ ২২ইং তারিখ আমি আমার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে বান্ধবীর বাসা থেকে আমার বড় বোনের বাসায় চলিয়া যাই এবং গত ১০ই মার্চ ২২ইং সকালে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে শারীরিক নির্যাতনের ডাক্তারি সনদপত্র গ্রহণ করি এবং সন্ধ্যায় আমার সাবেক স্বামী সুকুমার বড়ুয়ার সুকু আমার বড় বোনের বাসায় গিয়ে বৈঠক করার নাম করে তার বাসায় নিয়ে এসে জোরপূর্বক আটক করে রেখে আবারও শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকেন এবং আমার কাছে থাকা আমার নামে ব্যাংকের চেক বই ও ব্যাংকের কাগজপত্র এবং আমার প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র, শারীরিক নির্যাতনের মেডিকেলের সনদপত্র ও মোবাইলসহ জোরপূর্বক ভাবে নিয়ে নেয়। 

পরবর্তীতে আমি সুযোগ পেয়ে ৯৯৯ কল দিয়ে আমাকে আটক রেখে অত্যাচারের কথা জানাইলে পুলিশ আমাকে থানায় স্ব-শরীরে হাজির হয়ে অভিযোগ দেওয়ার জন্য বলেন কিন্তু সে সুযোগ না থাকায় অভিযোগ দেওয়া সম্ভব হয় নাই। তার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে গত ২২শে মার্চ ২২ইং তারিখ বিকেলে সুযোগ পেলে তার বাসা থেকে এক কাপড়ে পালিয়ে চলে আসি। 

পরবর্তীতে আমি রিমন বড়ুয়াকে গত ২৩শে মার্চ ২২ইং তারিখ বৌদ্ধ ধর্মীয় সামাজিক রীতিনীতি পালনের মাধ্যমে চিৎমরম বৌদ্ধ বিহারে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই এবং গত ২৪শে মার্চ ২২ইং তারিখ মাননীয় বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট/নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ের বিবাহের যৌথ হলফনামা/কোর্ট ম্যারিজ সম্পন্ন করি।

এসএ/