ধর্ষণের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় মাইমুনাকে হত্যা!
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
সাতক্ষীরায় ৪ দিনের ব্যবধানে দু দফা ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করা সেই স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসএসসি পরীক্ষার্থীর গলায় ফাঁস দেওয়া মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ মে) রাতে সাতক্ষীরার কাটিয়া এলাকায় চাচা মুনসুর আলী বাড়ি থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত স্কুলছাত্রী
মাইমুনা ইয়াসমিন সাতক্ষীরা শহরের দক্ষিণ কাটিয়া ঈদগাহ এলাকার আজিজুর রহমানের মেয়ে। নবারুণ বালিকা বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল সে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কাটিয়া পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মিজানুর রহমান জনবাণীকে জানান, “ওই শিক্ষার্থী গত ৩ ও ৭ মে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছিলো। ৯ মে তার বাবা সাতক্ষীরা সদর থানায় দুই জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। কিন্তু অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদে ভিকটিমের বক্তব্যের সাথে মামলায় বলা অভিযোগ গোলমেলে মনে হওয়ায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। ১০ মে মেয়েটি সাতক্ষীরার বিচারিক হাকিম ইয়াসমিন নাহারের কাছে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেয়। একই দিনে সদর হাসপাতালে তার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়। মামলার পর থেকে মেয়েটি বিমর্ষ ছিল।”
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরো জানান, “মরদেহ উদ্ধারের দিন দেখা যায়, মেয়েকে ঘরের মধ্যে তালাবদ্ধ রেখে বাবা চাবি নিয়ে গিয়েছিলেন।”
তবে একাধিক এলাকাবসি বলেছেন, “মাইমুনার ফুফু ময়না খাতুনের ছেলে আল আমিন তাকে ভয় দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধর্ষণ করে আসছিল। এ ছাড়া বাবা মেয়েকে বিভিন্ন সময়ে মারপিট করতো। ফলে তাকে কখনও কখনও ঘরের চালের ওপর রাত কাটাতে দেখেছেন। মানসিক বিষাদে ভোগা মেয়েটিকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে রাখা হতো।
তাদের দাবি, “৭ মে পুলিশ মাইমুনার লেখা একটি চিঠি উদ্ধার করে। চিঠিতে সে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে উল্লেখ ছিল। ধর্ষণের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় মাইমুনাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। ”
মাইমুনার বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. গোলাম কবীর জনবাণীকে জানান, “লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মৃতের বাবা বাদি হয়ে মঙ্গলবার রাতে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন। প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।”
এসএ/