কুষ্টিয়ায় এক তরুণীর বাড়িতে ঢুকে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে বিয়ে
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার পান্টি এলাকায় এক তরুণীর বাড়িতে ঢুকে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে সেই তরুণীকে বিয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই তরুণী কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে এ বছর স্নাতক (সম্মান) শেষ করেছেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম তিতাশ (৪০) বরিশাল জেলার বাসিন্দা ও তিনি কুমারখালী উপজেলার পান্টি এলাকার মৃত ইব্রাহিম বিশ্বাসের নাতি ।
মঙ্গলবার (৩১ মে) রাতে কুমারখালী উপজেলার পান্টি বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বুধবার (১ জুন) সকালে সরেজমিনে ওই তরুণীর মায়ের কাছ থেকে ঘটনাটি জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্থানীয় ইন্টারনেট ব্যবসায়ী রোমান ও লাহোরী সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিতাশসহ বেশ কয়েকজনকে নিয়ে দেওয়ালে ঘেরা বাড়ির পেছন দরজা দিয়ে প্রবেশ করে। এ সময় তাদের হাতে অস্ত্র, দা, ডাসা ও দড়ি ছিল। তারা এসেই আমাকে বলে তোর মেয়েকে তিতাশের সঙ্গে বিয়ে দিতে হবে। না হলে মেরে ফেলা হবে। বিয়েতে রাজি না হলে ওরা প্রথমে আমাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে মেয়ের কক্ষে নিয়ে যায়। পরে মেয়ের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে কাবিননামায় স্বাক্ষর করিয়ে নেয়।
তিনি বলেন, এ বিয়ে আমরা মানি না। থানায় মামলা করব। আমরা খুব ভয়ে আছি।
ওই তরুণী বলেন, প্রায় ছয় বছর আগে থেকে তিতাশ আমাকে বিয়ের কথা বলে আসছে। গতকাল রাতে হঠাৎ সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এসে বিয়ের কথা বলে। প্রতিবাদ করলে আমার মাকে বেঁধে রেখে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। একপর্যায়ে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দেয়। পরে ভয়ে কাবিননামায় স্বাক্ষর করেছি। স্বাক্ষর করা হলে রাত দেড়টার দিকে ওরা চলে যায়।
ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া রায়হান উদ্দিন বলেন, দোকান বন্ধ করে রাত ১০টার দিকে বাসায় ফিরি। সে সময় রোমান, লাহোরীসহ কয়েকজন আমাকে ডাক দেয়। বাইরে আসা মাত্রই মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে এক রুমে আটকে রাখে। পরে জানতে পারি অস্ত্র ঠেকিয়ে বিয়ে করে চলে গেছে।
কুমারখালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান গনমাধ্যমকে বলেন, রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিল। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জি আই/