সিইউএফএল সড়ক এক দুর্ভোগের নাম
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার সিইউএফএল সড়কে রাস্তায় ছোট বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। আর কোথাও কার্পেটিং উঠে সড়ক চেনারই উপায় নেই। এসব সড়কে চলাচল করতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। চাতরী চৌমুহনী ,আমানউল্লাহ পাড়া রাস্তার মাথা বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে এতে রাস্তায় সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট এবং চাতরী চৌমুহনী বাজারের গোলচত্বরের পশ্চিম পাশে ওয়াসার পাইপ লাইন সঞ্চালনের জন্য সড়ক কেটে খোঁড়াখুড়ি করা হয়। কাজ শেষ হলে খোঁড়াখুড়ি করা অংশ ২ আগষ্ট ২১ ভরাট বা মেরামত করে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে দেওয় হয়। কয়েক দিনের বৃষ্টিতে গর্তে পানি জমে আরো গভীরতা সৃষ্টি হয়। এতে বিভিন্ন ভারী যানবাহন আটকে গিয়ে দুর্ভোগে পড়ছে মানুষ।
সরজমিনে দেখা যায়, সিইউএফএল সড়কে কাফকো, ড্যাপ সারকারখানা ও কর্ণফুলী টার্নেলের বড় ট্রাক ও লরী ভারী গাড়ী যাতায়াত, প্রতিদিন সন্ধ্যায় কোরিয়ান কেইপিজেট ফ্যাক্টরি শ্রমিকদের শত শত গাড়ী , বাংলাদেশে বিমান বাহিনীর বড় গাড়ী, কর্ণফুলী ড্রাই ডকের স্ক্র্যাপ গাড়ি,ডিএপি সারকারখানাসহ ভারী যানবাহন চলাচলের ফলে সড়কটি যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে বাসিন্দা পারকী সমুদ্র সৈকত, শাহ মোহছেন আউলিয়ার মাজার, শাহ আমানত বিমানবন্দর, মেরিন একাডেমী, দুটি কলেজসহ এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করে। ব্যস্ত সড়কের দুই পাশ থেকে আসা যানবাহনের চাপে লেগে যাচ্ছে দীর্ঘ যানজট। ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।
গার্মেন্টস কর্মী মোহাম্মদ নুরুল আবছার বলেন, “বৃষ্টিতে রাস্তায় ছোট বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এসব রাস্তায় রিকশা পর্যন্ত চলতে চাই না। রাস্তায় সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট। ফলে অফিসে যেতে গাড়ি পাওয়া কষ্টকর হয়ে ওঠে।”
আনোয়ারা ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ (টিআই) মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, “গতকাল ভরাট বা মেরামত যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে দেওয়া হয়। কিন্তু বৃষ্টিতে গর্তে পানি জমে আরো গভীরতা সৃষ্টি হয়। এই গর্তের কারণে প্রতিদিন যানবাহন বিকল হয়ে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। গর্তটি শীঘ্রই মেরামত করা প্রয়োজন।”
উপজেলা নিবার্হী অফিসার শেখ জোবায়ের আহমেদ জনবাণীকে বলেন, “ভারী যানবাহন চলাচলের উপযোগি করতে শিল্প মন্ত্রনালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, পরিকল্পনা কমিশন বিভাগের সাথে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মাধ্যমে চাতরী চৌমুহনী থেকে সিইউএফএল হয়ে মেরিন একাডেমী পর্যন্ত ছয় কিলোমিটর সড়ক সিইউএফএল কতৃপক্ষের কাছ থেকে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের হস্তান্তর জন্য চিঠি দিয়ছি। আশা করি শীঘ্রই এ সমস্যর সমাধান হবে।”
এসএ/