সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর নারী ও তার স্বামীকে হত্যা, ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর নারী ও তার স্বামীকে হত্যা, ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড

১৩ বছর পর বিচার পেল একটি পরিবার। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে দল বেঁধে নারীকে ধর্ষণের পর তাকে এবং তার স্বামীকে হত্যার ঘটনায় ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৬ জুন) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক এই রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- রূপগঞ্জের সুমন মিয়া, আরিফুল, জামাল, মো. সুমন, লোকমান ও শফিক। এর মধ্যে সুমন, লোকমান ও শফিক ঘটনার পর থেকে পলাতক।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ১১ আগস্ট রাতে রূপগঞ্জের দেবই গ্রামে এক নারীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে আসামিরা। পরে তাকে হত্যা করে রাস্তার পাশের একটি ডোবায় ফেলে দেয়। একইসঙ্গে ওই নারীর স্বামীকেও হত্যা করে আসামিরা। পরে ১৬ আগস্ট তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় নিহত নারীর বাবা আনোয়ার বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় মামলা করেন।

নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান জনবাণীকে বলেন, “রূপগঞ্জ উপজেলার গঙ্গানগর গ্রামের আব্দুর রহমান ও তার স্ত্রী খাদিজা বেগমের মধ্যে পারিবারিক কলহ দেখা দেয়। এতে আব্দুর রহমান তার স্ত্রী খাদিজাকে হত্যা করতে উল্লিখিত ছয়জনকে ১০ হাজার টাকায় ভাড়া করে। ২০০৯ সালের ১১ আগস্ট খুনিরা রাস্তা থেকে খাদিজাকে তুলে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে মরদেহ ডোবায় গুম করে রাখে।”

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, “এরপর ভাড়ার ১০ হাজার টাকা খুনিদের না দেয়ায় একই সময় তারা আব্দুর রহমানকেও হত্যা করে ডোবায় মরদেহ গুম করে রাখে। এই ঘটনায় মামলা হলে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ দীর্ঘসময় মামলাটির তদন্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। আদালত ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণের পর আজ রায় ঘোষণা করেন।”

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে জনবাণীকে বলেন, “স্বামী-স্ত্রী হত্যার ঘটনায় আদালত ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময়ে আদালতে তিনজন উপস্থিত ছিলেন এবং বাকি তিনজন পলাতক। এ মামলায় আদালত ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে রায় ঘোষণা করেছেন।”

এসএ/