কুড়িগ্রামে পটলের বাম্পার ফলন, তবুও হাসি নেই কৃষকদের মুখে
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
কুড়িগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় পটলের বাম্পার ফলন হয়েছে তবে তুলনামূলকভাবে দাম কম ও প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে হতাশ চাষিরা। এ বছর জেলায় প্রায় ২৫০ হেক্টর জমিতে পটল চাষ হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় চাষ হয়েছে ৬২ হেক্টর জমিতে।
চাষিরা বলছেন, ‘পটল চাষে প্রতি বিঘা জমিতে সবমিলিয়ে ৩০-৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। অথচ এখন প্রতি বিঘা জমির উৎপাদিত পটল ৯০ হাজার থেকে এক লাখ টাকায় বিক্রির আশা থাকলেও পটলের দাম পাচ্ছেন না তারা। প্রতি মণ পটল বাজারে বিক্রি হচ্ছে দুইশো থেকে দুইশো পঞ্চাশ টাকা দরে। এছাড়াও গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পটলের দাম কমার কথাও জানান চাষীরা।
তারা বলেছেন, ‘বৃষ্টিতে বেশিরভাগ গাছ মরে গেছে। আর এমন সংকটে পটলের দাম কেজি প্রতি কমেছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। আর পাইকারদের কাছে প্রতি কেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৬ থেকে ৭ টাকায়।’
সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের উত্তর নওয়াবস গ্রামের পটল চাষী নজিবর রহমান বলেন, “আমি এক বিঘা জমিতে পটলের আবাদ করছি। প্রথমের দিকে পটলের খুবই ভালো দাম পেয়েছি। এখন আর ভালো দাম পাচ্ছি না। আগে তো এখানকার পটল দেশের বিভিন্ন এলাকায় যেত, এখন আর যাচ্ছে না। ”
একই ইউনিয়নের সিতাইঝাড় গ্রামের আফছার আলী বলেন, “বৃষ্টির কারণে পটলের গাছ মরে যাচ্ছে, ক্ষেতে পানি জমেছে। বর্তমানে পটল বাইরের জেলাতে না যাওয়ার কারণে দাম অনেক কমেছে। না বিক্রি করে তো কোন লাভ নাই, যা পাচ্ছি তাই লাভ, এতো পটল কি করবো আমরা?”
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল রশিদ জনবাণীকে বলেন, “যে সময় বাজারে কোন সবজির উৎপাদন বেশি হয় ঠিক সে সময়ে দামটা একটু কমে যায়। বর্তমানে বাজারে ৭ থেকে ৮ টাকা প্রতি কেজি পটল বিক্রি করছেন চাষিরা। কৃষকরা এতো টাকা পয়সা খরচ করে যদি ন্যায্য মূল্য না পায় তা তো অবশ্যই হতাশার।”
এসএ/