৮ চ্যালেঞ্জ নিয়ে এবারের বাজেট
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কৃষিখাত, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ, কর্মসংস্থান ও শিক্ষাখাতসহ মোট আটটি চ্যালেঞ্জ নিয়ে জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট উঠছে আজ। এবারের বাজেটের আকার হতে পারে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। ২০০৯-১০ অর্থবছরের বাজেটের চেয়ে যা প্রায় ৬ গুণ বড়।
করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতির যখন টালমাটাল পরিস্থিতি, এমন সময় জাতীয় সংসদে দেশের ৫১তম বাজেট উত্থাপন করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৩তম বাজেট।
এবারের ‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’ শিরোনামের বাজেটটি হতে যাচ্ছে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামালের চতুর্থ বাজেট।
২০২২-২৩ অর্থবছরে বাজেটের আকার হতে যাচ্ছে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কৃষি খাত, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ, কর্মসংস্থান ও শিক্ষাসহ বেশ কিছু খাতকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে এবারের বাজেটে।
এবারের বাজেট আওয়ামী লীগ নেতৃত্বধীন সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের চতুর্থ বাজেট। এটি হচ্ছে সরকারের জন্য পূর্ণাঙ্গ শেষ বাজেট। কারণ আগামী বছরের জুনে উত্থাপন করা হবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট। সেটি প্রথম ছয় মাস বাস্তবায়নের সুযোগ পাবে বর্তমান মেয়াদের সরকার। কারণ, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তাই এবারের বাজেটই সম্পূর্ণ বাস্তবায়নের সুযোগ পাচ্ছে সরকার।
২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে মূল চ্যালেঞ্জগুলো হলো- মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বেসরকারি বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়ানো, ভর্তুকির অর্থের জোগান, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল রাখা, ব্যাংক ঋণের সুদের হার স্থিতিশীল রাখা, রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বাড়ানো ও বাজেট ঘাটতি কমানো, সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা বাড়ানো এবং নতুন দারিদ্র্য ঠেকানো।
২০২২-২৩ অর্থবছরে বাজেটের আকার হতে যাচ্ছে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কৃষি খাত, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ, কর্মসংস্থান ও শিক্ষাসহ বেশ কিছু খাতকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে এবারের বাজেটে।
২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতির নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা থাকবে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ।
এবারের বাজেটে সরকারের আয়ের সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৭১ কোটি টাকা এবং ঘাটতি বাজেটের আকার ২ লাখ ৪১ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা।
প্রস্তাবিত বাজেটে কর বাবদ আয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। এনবিআর বহির্ভূত কর থেকে আয় ধরা হয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া কর ছাড়া আয় ধরা হয়েছে ৪৫ হাজার কোটি টাকা।
বাজেটের ঘাটতি পূরণে সরকারকে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণ নিতে হবে। প্রস্তাবিত বাজেটে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ধরা হয়েছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক উৎস থেকে ৯৫ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা।
প্রসঙ্গত, গত রোববার (৫ জুন) একাদশ জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। আজ (৯ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট প্রস্তাব উত্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
এসএ/