রক্তলাল কৃষ্ণচূড়ার প্রেমে আইনজীবীরা


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


রক্তলাল কৃষ্ণচূড়ার প্রেমে আইনজীবীরা

চট্টগ্রাম বন্দর নগরীর বিভিন্ন স্থানে শোভা পাচ্ছে রক্তলাল কৃষ্ণচুড়া। তপ্ত গ্রীষ্মের বার্তা নিয়ে ফুটেছে কৃষ্ণচূড়া। সবুজ পাতার ফাঁকে উজ্জ্বল লাল রঙের কৃষ্ণচূড়ার অপূর্ব বাহারি দৃশ্য দেখে যে কোনো পথিকের দৃষ্টি কাড়বে বৈকি! 

কবি এস এম খায়রুল বাশার কৃষ্ণচূড়া নিয়ে কবিতা লিখেছেন- ‘কৃষ্ণচূড়া, লালে রাঙা আগুন ঝরা-প্রিয়ার খোপার ফুল। কৃষ্ণচূড়া, হাওয়ায় খেলা পাপড়ি দোলা-বঁধুর কানের দুল।’ ‘কৃষ্ণচূড়ার রাঙা মঞ্জরি কর্নে-আমি ভূবন ভুলাতে আসি গন্ধে ও বর্নে’ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতার এমন পঙতি দিয়ে বোঝা যায় কতটা সৌন্দর্য কৃষ্ণচূড়া প্রকৃতিকে দান করেছে!

এইতো কিছুদিন আগেও প্রকৃতি ছিলো রুক্ষ। বৈশাখে আগুন ঝরাচ্ছে আকাশ, কাঠফাটা রোদে তপ্ত বাতাস। প্রাণ ও প্রকৃতি যখন প্রখর রোদে পুড়ছে, কৃষ্ণচূড়া ফুল সৌন্দর্যের বার্তা নিয়ে আহবান করে সব পথিককে। গ্রীষ্মের এ প্রাণহীন রুক্ষতা ছাপিয়ে প্রকৃতিতে কৃষ্ণচূড়া নিজেকে মেলে ধরেছে যেন আপন মহিমায়। যেন রক্ত লাল রঙে পথে-প্রান্তরে, মাঠের ধারে কৃষ্ণচূড়ার পসরা সাজিয়ে বসে আছে প্রকৃতি।

সাধারণত এপ্রিল-জুনে কৃষ্ণচূড়া ফুল ফুটে থাকে। এ সময়টাতে গ্রীষ্মের প্রকৃতি চোখ ধাঁধানো টুকটুকে সিঁদুর লাল কৃষ্ণচূড়ায় সাজে। লাল- হলুদের সৌন্দর্যে মাতোয়ারা করে রেখেছে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের কিছু প্রাঙ্গন।তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে চট্টগ্রাম দায়রা আদালত ভবনের পশ্চিম দিকে দৃশ্য। 

সরেজমিনে চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ  আদালত ভবন (নতুন আদালত ভবন) এর ৪র্থ তলার পশ্চিম দিকে চোখ দিলে দেখা মিলে বেশ কয়েকটি  আগুনলাল কৃঞ্চচূড়ার গাছ। যার মনোরম দৃশ্য দেখে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে অবাক দৃষ্টিতে দু নয়ন ভরে এর অপরূপ শোভায় মনটা জুড়িয়ে গেল!। আর এই রকম অপরুপ সৌন্দর্য  প্রতিদিন শতশত আইনজীবী উপভোগ করছে। এই রক্তিম বৃহৎ পুষ্পমঞ্জরি সদৃশ্য আগুনলাল কৃষ্ণচূড়া। এর অপরূপ দৃশ্য দেখে আইনজীবীদের প্রাণে আসে নতুন উদ্যম। অবাক চোখে তাকিয়ে যেকোনো আইনজীবী এ অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করবেই। তখন প্রতিটি মন ছুঁয়ে রঙিন হয়ে যায় কৃষ্ণচূড়ার রঙে।

এডভোকেট সাগর দাশ জনবাণীকে বলেন, ‍“একসময় কৃষ্ণচূড়া গাছ প্রকৃতিতে অনেক বেশি থাকলেও ধীরে ধীরে তা কমে আসছে। কৃষ্ণচূড়া গাছের কাঠ তেমন গুরুত্ব বহন না করায় এবং গাছটি খুব ধীর গতিতে বেড়ে উঠায় এই গাছ রোপণে আগ্রহ নেই কারও। তবে এটি আমাদের প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য।” 

এডভোকেট আব্বাস আলী খান জাবেদ জনবাণীকে বলেন, “গ্রীষ্মকালে কৃষ্ণচূড়া ফুল প্রকৃতি আমাদের উপহারস্বরূপ দিয়েছে। তবে প্রকৃতিকে সাজাতে আমাদেরও সবার এগিয়ে আসা উচিত।” 

ছবি তুলতে আসা এডভোকেট রাশেদ পারভেজ জনবাণীকে বলেন, “কূঞ্চচুড়া ফুল দেখতে খুব সুন্দর আর এই আদালত ভবন থেকে দেখতেও চমৎকার লাগে তাই কূঞ্চচড়া ফুলে নিজেকে ক্যামরা বন্দী করলাম।”
 
এডভোকেট মোক্তার উদ্দিন সাগর জনবাণীকে বলেন, “আমার পছন্দের ফুলের মধ্যে অন্যতম হল কৃঞ্চচুড়া ফুল আর এই আদালত ভবন এই ফুল দেখতে এক কথায় অসাধারণ। এই জায়গায় এসে সবাই ছবিও তোলে তাই আমি ও একখানা ছবি তুললাম।” 

এডভোকেট জিসান তার এফ আইডিতে আদালত ভবন থেকে কৃঞ্চচুড়া ফুলে ক্যামরা বন্দীর ছবি দিয়ে লিখেছেন 'কৃঞ্চচুড়া ফুলের প্রেমে আমরাও'।

কৃঞ্চচুড়ার নয়ন জুড়ানো হাসিতে তোলা এডভোকেট আবদুল্লাহ আল মামুনের এফবিতে পোস্ট করা নিজের ছবিতে তিনি লিখেছেন- ‘সবুজের মাঝে কৃঞ্চচুড়ার রক্তিম লালের অনিন্দ্য সুন্দরের আকর্ষণে নীল আসমানের নিচে আমিও’।

এসএ/