মদ পানে ২ জনের মৃত্যু, আহত ১


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


মদ পানে ২ জনের মৃত্যু, আহত ১

কুড়িগ্রামের ভূরম্নঙ্গামারীতে মদ খেয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় শনিবার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ কুড়িগ্রাম হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। এর একদিন আগে মদপানে শাহ জামাল নামের অপর একজনের মৃত্যু ঘটেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। 

একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ভুরুঙ্গামারী  উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের উত্তরছাট গোপালপুর গ্রামের মৃত শফি উদ্দিন ব্যাপারীর পুত্র মিজানুর রহমান (৪৫) গত শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় পাগলাহাট বাজারে রাত ৮ টার দিকে সহপাঠী এরশাদ হোসেন (৩২) এর সাথে মাত্রাতিরিক্ত মদপান করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে কুড়িগ্রাম হাসপাতালে নেয়ার পথে রাত ১২ টার দিকে পথেই তার মৃত্যু ঘটে। সহপাঠী তিলাই ইউনিয়নের পশ্চিম ছাট গোপালপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের পুত্র এরশাদ অতিরিক্ত মদ্যপানে অসুস্থ হলে তাকে বাড়িতেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। 

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, ভুরুঙ্গামারী থানা  পুলিশ ওই এলাকায় মদপানে মৃত্যুর ঘটনা জেনে রাত তিনটায় লাশ উদ্ধার করে শনিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রামের মর্গে প্রেরণ করে।   

জনশ্রুতি পাওয়া গেছে,গত (৯ জুন) বৃহস্পতিবার একই উপজেলার একই গ্রামের ঘাতু মন্ডলের পুত্র শাহজামাল (৫০) নামে অপর এক ব্যক্তি মাত্রাতিরিক্ত মদ পান করে মারা গেছে। উল্লেখিত তিনজনই পেশায় কশাই। এরা পাগলাহাট বাজারে নিয়মিত মাংস বিক্রি করতো। 

শিলখুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ জনবাণীকে জানান, ‍‍“পরিবারের লোকজন মদপানের বিষয়টি অস্বীকার করছে কিন্তু এলাকাবাসী অভিযোগ করছে অতিরিক্ত মদ্পানেই মিজানুরের মৃত্যু ঘটেছে। এর আগে শাহজামালের মৃত্যুর পরও এলাকায় মদপানে মৃত্যুর বিষয়টি ব্যাপক প্রচারিত হয়।”

ভূরম্নঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ আজাহার আলী জনবাণীকে জানান, “এরা সকলেই আগে থেকে মদপানে অভ্যস্ত ছিল। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।” 

অভিযোগ রয়েছে, সন্ধ্যা লাগার সাথে সাথেই ভারতীয় সীমান্ত লাগোয়া এ পাগলা হাট বাজারে ভারতীয় মদের হাট বসে। 

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বহুদূর থেকে কতিপয় মাদকসেবী এ বাজারে এসে প্রকাশ্যেই মাদক সেবন করেন। এছাড়াও এসব মাদকসেবীরা  রং-এর কাজে ব্যবহৃত মিথাইল, এ্যালকোহল ও হোমিও চিকিৎসায় ব্যবহৃত রেকটিফাইড সেবন করত বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়দের ধারণা মিথাইল পান করার কারণেই এ দু'জনের মৃত্যু ঘটেছে।

এসএ/