সরকারি খাস বিল অবৈধভাবে বিক্রি


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


সরকারি খাস বিল অবৈধভাবে বিক্রি

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে সরকারি খাস বিল ৯৯ বছরের জন্য লীজ নিয়ে তা অবৈধভাবে বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার আন্দুয়া বিলে প্রায় ৯ একর খাস জমি ছিল। উক্ত জমির মধ্যে ১০০ শতক জমি ২৯ মে-১৯৮৮ তারিখে পলাশবাড়ী সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসে ৩৩৯৮ নং দলিল মূলে মোফাজ্জল হোসেন ও রেজিয়া বেগম সরকারি খাস জমি ৯৯ বছরের জন্য লীগ গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে অর্থের লোভে উক্ত লীজ গ্রহীতারা সরকারি শর্ত ভঙ্গ করে ২০১৪ সালের মে মাসের ২৯ তারিখে পলাশবাড়ী সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে ২৭৭৫ নং দলিল মূলে আসাদুজ্জামান সেলিম এর নিকট মোফাজ্জল হোসেন ও রেজিয়া বেগম ১০০ শতক সরকারি খাস বিল বিক্রি করে। 

অপরদিকে ৮১ শতক সরকারি খাস বিল জোবেদা, আনোয়ারা, আতোয়ার ও আঞ্জু একইভাবে লীজ গ্রহণের পর পরবর্তীতে ২০১৮ সালের আগষ্ট মাসের ৮ তারিখে তারা পলাশবাড়ী সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসে ৩৯৭৮ নং দলিল মূলে উক্ত আসাদুজ্জামান সেলিম এর স্ত্রী তানজিলা নাহিদ চৌধুরীর নিকট ৮১ শতক লীজকৃত বিল সরকারি শর্ত ভঙ্গ করে বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই খাস বিলটি ইতিপূর্বে প্রতি বছরই লীজ প্রদান করে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব পেত। কিন্তু খাস বিলের মোট ১’শ ৮১ শতক জমি অবৈধভাবে বিক্রি করায় সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছেন। বর্তমানে উক্ত আসাদুজ্জামান সেলিম ও তানজিলা নাহিদ চৌধুরী বিলটি ক্রয়ের পর থেকেই জমির শ্রেণি পরিবর্তন এবং বিলের ভিতর দিয়ে বাঁশের বেড়া দেয়ায় স্বল্প মূল্যে বিলটি ইজারা দেয়া হচ্ছে। তাতে সরকারের প্রতি বছরই অনেক টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। 

সরকারি শর্ত ভঙ্গ করে লীজকৃত বিল বিক্রি করায় স্থানীয় সচেতন ব্যক্তি মতলুবর রহমান গত (১২ জুন) পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে এক লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। তিনি অভিযোগে সরকারি শর্ত ভঙ্গ করে লীজকৃত জমি বিক্রি করায় বিক্রেতা ও ক্রেতাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবী জানান। 

লীজকৃত জমি ক্রয়ের ব্যাপারে আসাদুজ্জামান সেলিমের সাথে মুঠো ফোনে কথা বললে, তিনি কবলা দলিলের কথা অস্বীকার করে বলেন আমি বন্ধক নিয়েছি। 

এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান জনবাণীকে জানান, “আমি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

এসএ/