শান্তিগঞ্জে আবারো বন্যা, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


শান্তিগঞ্জে আবারো বন্যা, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে দ্বিতীয় দফায় সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। মহাসিং, লাউয়া ও নাইন্দা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ইতোমধ্যে উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। এছাড়াও উপজেলার ৩টি বিদ্যালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করায় বিদ্যালয়গুলি কর্তৃপক্ষ বন্ধ ঘোষনা করেছেন। এদিকে পানিতে সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় উপজেলার দুর্বাকান্দা, উলারভিটা, মৌখলা সহ নিম্নাঞ্চলের গ্রামগুলির যাতায়াত ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে৷  

বুধবার (১৫ জুন) সকাল ৯ টার দিকে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ০.২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে জানিয়েছে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড। 

জানা গেছে, শান্তিগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের শিমুলবাক-তেহকিয়া সড়ক, কাকিয়ারপাড় নোয়াগাঁও সড়ক, পাবর্তীপুর-সুলতানপুর সড়ক, কামরূপদলং-আস্তমা সড়ক সহ ছোট বড় গ্রামীণ রাস্তা অতিবৃষ্টির ফলে তলিয়ে গেছে। এতে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া হাওর ও নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়া অব্যাহত থাকায় অনেক এলাকার নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। ফলে ওইসব এলাকার মানুষজনের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।  পাশপাশি শান্তিগঞ্জ উপজেলার ধনপুর, উমেদনগর ও বীরকলস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস বন্ধ ঘোষনা করেছেন। 

শান্তিগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাক ইউনিয়নের ধনপুর সর্দারপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মইনুল হক জানান, ‍“আমার বিদ্যালয়টি সুরমা নদীর পাড়ে অবস্থিত।  ইতিপূর্বে সুরমা নদীর ভাঙ্গণের কবলে পড়েছে। বিদ্যালয়ে ২৮৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। অধিকাংশ শিক্ষার্থী সাতার জানে না। গত ২ দিন আগে সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদ্যালয়ের টয়লেট, ক্লাস রুমে হাটিু পানির উপরে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।  শিক্ষার্থীরা পানির ভেতরে ক্লাস করতে পারবে না। তাই উপজেলা শিক্ষা অফিসের আদেশ মোতাবেক শিক্ষার্থীদের বাড়িতে ফেরত পাঠিয়েছি এবং বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে।”  

শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ফারুক আহমদ জনবাণীকে বলেন, “পাহাড়ী ঢল ও অতিবৃষ্টির ফলে শান্তিগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। গত বন্যায় হাওরে পানিতে ভরপুর থাকায় অতিবৃষ্টিতে মানুষের ঘর-বাড়িসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করেছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।  আমি উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে পানিবন্দি মানুষদের সহায়তায় ব্যবস্থা করছি।”
   
শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) মো. আনোয়ার উজ জামান জনবাণীকে বলেন, “অতিবৃষ্টির ফলে পানি বাড়ছে। উপজেলার কিছু কিছু এলাকা নিম্নাঞ্চল থাকায় বসত বাড়ী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করছে।  যাদের বসত বাড়ীতে পানি প্রবেশ করছে। তাদেরকে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ত্রান কার্যক্রম অব্যাহত আছে।”

এসএ/