নাগরপুরে সেরা ‘রাজা বাবু’


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


নাগরপুরে সেরা ‘রাজা বাবু’

কিছু দিন পরেই কুরবানির ঈদ। আর ঈদকে টার্গেট করে সারাদেশের ন্যায় টাঙ্গাইলের নাগরপুরের খামারিরাও প্রস্তুত তাদের গরু নিয়ে। এবার কুরবানির হাট কাঁপাতে আসছে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার মামুদনগর ইউনিয়নের ‘রাজা বাবু’। নামে নয় কাজেও রাজা। যেমন দেহ তেমন উচ্চতা ও শক্তিশালি। লাল কালো রংয়ের সুঠাম স্বাস্থ্যের অধিকারী ষাঁড়টিকে আদর করে নাম দেয়া হয়েছে রাজা বাবু। প্রতিদিনই রাজা বাবুকে দেখতে পাড়া প্রতিবেশি সহ দূরদুরান্ত থেকে ছুটে আসছে কৌতুহলী লোকজন । খুবই শান্তশিষ্ট লানা জাতের একটি ষাঁড়। গরুটি কাশাদহ উত্তরপাড়ার মৃত্যু হায়াদ আলীর ছেলে মো. শফিকুল ইসলামের । 

রাজা বাবুকে আদর যত্নে বড় করে তুলেন শফিকুলের স্ত্রী সাহিদা বেগম। তিনি বলেন, “গরুর ফিট খাবার খাওয়ানোর সাধ্য আমাদের নেই। তাই মামুদনগর ইউনিয়নের প্রাণিসম্পদ ডা. মতিউর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি গরুর ওজন এবং প্রয়োজনের ভিত্তিতে প্রাকৃতিক (ব্যালেন্সড) সুষম খাবার খাওয়ানোর পরামর্শ দেন।”

খামারি শফিকুল ইসলাম বলেন, “বাজারে ক্রেতা ও গরুর সরবরাহের উপর দাম নির্ভরশীল। তবে আমি ৫ লাখ টাকা চাচ্ছি। পরিশ্রমের সঠিক মূল্য পেলে আগামীতেও এমন গরু নাগরপুর বাসীকে উপহার দেব। রাজা বাবুর খাদ্য তালিকার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের সবুজ ঘাস, গাছের পাতা, খর, ভুসি, ভুট্টা ভাঙা, সরিষার খৈল, নালি, চালের কুড়া, লবণ, পরিমাণ মতো পানি। নিয়মিত গোসল করানো, পরিষ্কার ঘরে রাখা, বাবুর ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা, নিয়মিত হাঁটানো, রুটিন অনুযায়ী ভ্যাকসিন দেয়া ও কৃমির ওষুধ খাওয়ানো এসব বিষয়ে ডা. মতিউর রহমানের পরামর্শেই ছোট বাছুরটি আজ রাজা বাবু হয়ে উঠেছে। রাজা বাবুকে মোটা-তাজা করার ব্যাপারে কোনো ওষুধ বা ইনজেকশন ব্যবহার করা হয়নি বলেও তিনি জানান । যারা রাজা বাবুকে কিনতে চান তারা এই ০১৭৩১-৭১৬৮০৬ নাম্বারের যোগাযোগ করতে পারেন।”

মামুদনগর ইউনিয়ন প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সিল মো. মতিউর রহমান জনবাণীকে বলেন, “গরুটি সম্পূর্ণ দেশীয় খাবার খাইয়ে লালন-পালন করা হয়েছে। এটি লানা জাতের ষাঁড় গরু। এ জাতের গরু আমাদের দেশে খামারিরা পালন করেন। আমার জানা মতে, গরুটি নাগরপুর উপজেলায় সর্বোচ্চ বড়।”

এসএ/