চট্টগ্রাম নগরীতে আজব ভবন আতঙ্ক!


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


চট্টগ্রাম নগরীতে আজব ভবন আতঙ্ক!

চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া নিরাপদ হাউজিং-২ এ সরদার বাড়ি-২ এলাকায় ছোট মাত্র কয়েক হাত জায়গার উপর উচু খুঁটির মত চারতলা আজব ভবনের আতঙ্কে রয়েছে স্থানীয়রা। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, এ ভবনটি যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়ে বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। সিডিএ এবং সিটি কর্পোরেশনের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে কোন অনুমোদন না নিয়ে রাতের আঁধারে এলাকার কিছু প্রভাবশালীদের সাথে হাত করে গত কয়েক বছর আগে অবৈধভাবে এ ভবন নির্মান করা হয়েছে বলে অভিযোগও উঠেছে। 

জানা গেছে, নগরীর বাকলিয়া ১৭ নং ওয়ার্ডের বগারবিল নিরাপদ হাউজিং-২ সরদার বাড়ি-২ এ ভবনের মালিক বরিশাল জেলার আতাহার আলী সরদার নামের এক ব্যক্তি। এ অবৈধ এ ভবনটি সিডিএ এবং সিটি কর্পোরেশনের উচ্ছেদ ঠেকাতে নিজের ব্যাক্তিগত একটি এনজিও প্রবাসী জন উন্নয়ন সংঘ নামের একটি বেনামি প্রতিষ্ঠানকে ভাড়াটিয়া ঠিকানা ব্যবহার করে আসছে। এ প্রতিষ্ঠানের মালিক এবং প্রতিষ্ঠাতাও উক্ত ভবনের মালিক আতাহার আলী সরদার। আতাহার আলী সরদারের বিরুদ্ধে এলাকার গরীব অসহায় মানুষের জায়গা জমির কাগজ জাল জালিয়তি করে দখল করা, দালালী করা, বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানায়। এক সময়ের দিনমজুর কুলিমজুর আতাহার আলী সরদার হঠাৎ অল্প সময়ের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীতে ৩/৪টি ভবনের মালিক অধিকাংশ ভবনের জায়গা গরীব অসহায় মানুষের সাথে প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। 

জনকল্যাণ আবাসিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ হারুন সওদাগর জনবাণীকে জানান, ‍“সামান্য জায়গার উপর ভবনটি কিভাবে হলো আমাদের মাথায় আসছে না কারা অনুমোদন দিল। প্রায় এক দেড় বছরের মধ্যে নির্মাণ করার পর সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। যে কোন সময় প্রানহানি ঘটনা ঘটতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করেন।” 

ছোট জায়গায় অবৈধভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ করা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ভবনের মালিক আতাহার আলী সদরদার জনবাণীকে জানান, “ভবন নির্মানের জন্য ২০০০ সালে অনুমোদন নিয়েছে, ভবন নির্মাণ করেছে ২০ বছর পর, তবে স্থানীয়দের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ভবনের এক পাশে এখনো পর্যন্ত কোন ভবন বা বসবাসকারী নেই তবে অপর পাশে ভবন রয়েছে বলে স্বীকার করেন। ছোট জায়গায় অবৈধভাবে চারতলা ভবন নির্মানের প্রসঙ্গে এবং দূর্ঘটনা ঘটলে দায়ী  কে হবে এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদকের সাথে সরাসরি কথা বলতে চান এখন বরিশালে রয়েছে বলে দাবি করেন।”
  
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) সহকারী অথরাইজড অফিসার তানজীব জনবাণীকে হোসেন বলেন, “এ ধরণের ভবন নির্মানে সিডিএ কখনো অনুমোদন দেয়ার প্রশ্নই আসে না, তবে আমাদের পরিদর্শক যারা আছে তারা এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবে তাদের হাতে কোন কাগজ পত্র জমা দিয়েছিল কিনা।”
 
এ বিষয়ে সিডিএ পরিদর্শক খোকন শীল জনবাণীকে জানান, “এ ভবনটি আমাদের কোন অনুমোদন নেয়া হয়নি, আইন অমান্য করায় আমরা উনার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সুপারিশ করব।” 

সিটি কর্পোরশেনের এস্টেই অফিসার জসিম উদ্দীন চৌধুরী জনবাণীকে জানান, “উক্ত ভবনের বিষয়ে খোঁজ খবর এবং তথ্য নেয়ার জন্য স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানানো হবে, সিডিএ এবং সিটি কর্পোরশেনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কিভাবে ভবন নির্মাণ করেছে সেটা সবার প্রশ্ন, বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটলে সবাইকে দায় নিতে হবে।”

এসএ/