মাথায় কাফন, হাতে বিষের বোতল নিয়ে প্রতিবাদকারী কৃষকদের পাশে এমপি সেলুন
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও চাঁদাবাজির মামলায় আটক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক মানব সম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেনসহ সকল কৃষকের মুক্তি এবং পুলিশী হয়রানি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে কৃষ্ণপুর গ্রামবাসী।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দুপুরে বড়বাজার শহীদ হাসান চত্বরে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। এসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার সেলুন আন্দোলনকারীদের সাথে সাক্ষাত করেন। তিনিও ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাদ হোসেনসহ সকল কৃষকের মুক্তির বিষয়ে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
এমপি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার সেলুন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন চাষের জমি কোন কাজের জন্য অধিগ্রহণ করা যাবে না। তাই আপনারা চাষের জমি নষ্ট না করে পতিত কোন জমি থাকলে সেখানে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করেন।
তিনি আরো বলেন, আমাদের চেয়ারম্যান রশিদ কত বড় লোক হয়ে গেছেন জানি না, আমাদের এমপি সাহেব নাকি ওনার পিছন থেকে কলকাঠি নাঁড়ছেন। সেই সাথে এমপি সাহেবের কথায় চুয়াডাঙ্গার এসপি সাহেবও উঠেপড়ে লেগেছেন। এ বিষয়ে পুলিশের এতো ইন্টারেস্ট কেন আমি বুঝলাম না? আমার জমি আমি দেব না। আপনি কিভাবে নিবেন। আমার জীবননগর, দর্শনা, চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গা মাদকের উপর ভাঁসছে এগুলো ঠেকান এসপি সাহেব। সেদিকে কী আপনার নজর আছে? ওদিকে নজর না দিয়ে চাষের জমির উপর নজর কেন? মাল-পানি তাহলে ভালোই পাওয়া গেছে নাকি?
এমপি সেলুন বলেন, আমারা যারা রাজনীতি করি, যদি কৃষ্ণপুরের পাশে কেউ না থাকে আমি একাই আছি এবং থাকবো।
আন্দোলনকারীরা জানান, জীবননগরের কৃষ্ণপুর গ্রামের মানুষ কৃষিনির্ভর। এই গ্রামের তিন ফসলি জমিকে অনাবাদী দেখিয়ে ১৮০ একর জমিতে সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সাইক্লিষ্ট এনার্জি ওয়ান লিমিটেড সোলার পাওয়ার তৈরীর উদ্যোগ নেয়। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা প্রভাবিত হয়ে জোর করে কৃষকদের আবাদি জমি কোম্পানীর কাছে বিক্রি করতে বাধ্য করছে। প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, ফসলী জমিতে সোলার প্যানেল বন্ধ ও ফসলী জমি টিকিয়ে রাখতে গ্রামবাসী আন্দোলন করছেন। বিদ্যুৎ প্লান্ট বন্ধে গ্রামবাসীর সাথে ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাদ হোসেন আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন।
এর আগে তিন ফসলী জমিতে সোলার পাওয়ার প্লান্ট স্থাপন বন্ধের দাবিতে গত ৭ জুলাই গ্রামবাসী জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি পেশ করে। একই দাবিতে তারা কাফন পরে ও বিষের বোতল হাতে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া দেড় শতাধিক কৃষক, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক মানব সম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির করার অভিযোগ উঠেছে।
এসএ/