এক শিক্ষককে করতে দেখে আরেক শিক্ষকের বলাৎকার!


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


এক শিক্ষককে করতে দেখে আরেক শিক্ষকের বলাৎকার!

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে এক মাদ্রাসাছাত্রকে (১১) বলাৎকারের ঘটনায় তোলপাড় চলছে। ওই ছাত্রকে ৩ মাস আগে বলাৎকার করেন আরেক শিক্ষক। ঘটনাটি মাদ্রাসা সুপার ধামাচাপা দেয়ার জোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।

এ ঘটনায় সোমবার (১৮ জুলাই) রাত ৯ টায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীর বাবা ও স্বজনরা মাদ্রাসা ঘেরাও করলে হাজিমারা ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

মাদ্রাসার শিক্ষক বলাৎকারক মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই শিক্ষার্থীর বাবা। ঘটনার পরই রাতে শিক্ষক মনিরুল ইসলাম পালিয়েছেন। 

স্থানীয় ইউপি সদস্য মফিজ খান জনবাণীকে বলেন, ‍“এ ঘটনা ছাড়াও ওই ছাত্রকেই গত তিন মাস আগে মনির হোসেন নামের আরেক শিক্ষক বলাৎকার করেছিল। মান-সম্মানের ভয়ে গোপনে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া হয়। ওই শিক্ষকও পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আমরা সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।”

সোমবার (১৮ জুলাই) দুপুরের খাবারে পর বৃষ্টির সময় কওমি মাদ্রাসার ভিতরে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শিক্ষক মো. মনিরুল ইসলাম জামালপুরের হরিপুর গ্রামের আইনাল হকের ছেলে।

পুলিশ ও ভুক্তভোগী ছাত্রের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুরের খাবারের পর ১১ বছর বয়সী ছাত্র তার সহপাঠীদের সঙ্গে তাদের কক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে। এ সুযোগে বলাৎকার করে একই মাদ্রাসার ১৯ বছর বয়সী শিক্ষক মনিরুল ইসলাম। এতে ভুক্তভোগী ছাত্রটি অসুস্থ হয়ে পড়লে বিকালে সে তার বাড়িতে গিয়ে বাবা-মাকে ঘটনাটি জানায়। পরে মনিরুল ইসলাম সন্ধ্যায় মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যায়।

মাদ্রাসার সহকারী সুপার মুফতি তারেকুল ইসলাম বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চাইলে অভিভাবক তার স্বজনদের নিয়ে হাজিমারা ফাঁড়ি পুলিশকে ঘটনাটি জানায়।

রায়পুর হাজিমারা ফাঁড়ির ইনচার্জ মফিজুর রহমান জনবাণীকে জানান, “খবর পেয়ে অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক পলাতক থাকায় তাকে আটক করতে পারিনি। ছাত্রের বাবা লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

এসএ/