মিলছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ: আকার বড়, দামও ভাল


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ পিএম, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


মিলছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ: আকার বড়, দামও ভাল

সাগর থেকে মাছ ভর্তি ট্রলার নিয়ে উপকূলে ফিরতে শুরু করেছে ট্রলার। মিলছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশসহ নানা প্রজাতির মাছ। এতে খুশি ট্রলার মালিক, আড়তদার ও জেলেরা। তবে মৎস্য ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, নানা কারণে এখনও প্রত্যাশিত মাছ ধরা পড়ছে না সাগরে। কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা বলছেন, সাগরে মাছ শিকারের ওপর ৬৫ দিনের যে নিষেধাজ্ঞা ছিল এর সুফল পেতে অপেক্ষা করতে হবে আরও ১০ থেকে ১৫ দিন।

টানা ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে যাওয়া জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশসহ নানা প্রজাতির মাছ। একের পর এক মাছভর্তি ট্রলার ফিরছে উপকূলে। দীর্ঘদিন পর মাছভর্তি ট্রলার আসায় খুশি ট্রলার মালিক, আড়তদার ও জেলেরা।

কক্সবাজার শহরের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এলাকায় বাঁকখালী নদীতে ১৫ থেকে ২০টি মাছ ধরার ট্রলার নোঙর করে আছে। এসব ট্রলার থেকে মাছ নামিয়ে পল্টুনে নিয়ে যাচ্ছেন শ্রমিকরা। সেখানেই চলছে বেচাকেনা।

দুই দিন আগেও যেখানে সুনসান নিরবতা ছিল সেই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এখন মানুষের কোলাহলে মুখর। জেলে, শ্রমিক, ব্যবসায়ীদের হাকডাকে সরগরম পুরো এলাকা।

ট্রলারের জেলেরা বলছেন, বঙ্গোপসাগরের কিছুটা গভীরে গিয়ে জাল ফেললেই ইলিশ ধরা পড়ছে। এছাড়াও ধরা পড়ছে লাল পোয়া, মাইট্যা, সুরমা, রিটাসহ নানা প্রজাতির বিপুল মাছ। তাই আগামী তিন-চার দিনের মধ্যেই সামুদ্রিক মাছে ভরে উঠবে হাটবাজার।

কক্সবাজার মৎস্য ব্যবসায়ী ঐক্য সমবায় সমিতি লিমিটেড এর সভাপতি ওসমান গণি টুলু জনবাণীকে বলেন, ‍“৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগেও কক্সবাজার উপকূলে ইলিশের খুব একটা দেখা পাননি জেলেরা। এবার বড় ইলিশ ধরা পড়ায় তারা খুশি। তবে নিষেধাজ্ঞা চলাকালে ভারতীয় নৌকা বাংলাদেশের জলসীমায় এসে মাছ শিকার করে নিয়ে না গেলে আরও বেশি বেশি মাছ পাওয়া যেত।”

তবে যে হারে ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে সেই হারে এখনও দাম কমেনি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। মাঝারি আকারের ১০০ টি ইলিশের দাম হাকা হচ্ছে ৫০ হাজারের বেশি। আর বড় আকারের ১০০ টি  ইলিশের দাম হাকা হচ্ছে ১ লাখ থেকে দেড় লাখ টাকার বেশি।

আগামী কয়েক দিনে এক হাজারের বেশি ট্রলার ইলিশসহ অন্যান্য মাছ  নিয়ে ঘাটে ফিরবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে এসব মাছের বড় একটি অংশ যাবে  ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়।

তবে কক্সবাজার ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন এর দাবী, “নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর তারা যে হারে মাছ ধরা পড়ার আশা করেছিলেন নানা কারনে সেই হারে এখনও মাছ সাগরে ধরা পড়ছে না।”

কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মো. এহসানুল হক জনবাণীকে জানালেন, “সবেমাত্র জেলেরা সাগরে মাছ ধরার জন্য গভীর সমুদ্রের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন। ৬৫ দিনের যে নিষেধাজ্ঞা ছিল তার সুফল পুরোপুরি পেতে  আরও অপেক্ষা করতে ১০ থেকে ১৫ দিন।”

জেলায় ছোট–বড় মাছ ধরা ট্রলার আছে প্রায় ছয় হাজার। এসব ট্রলারে জেলে–শ্রমিকের সংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি। এর মধ্যে মৎস্য বিভাগের নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন ৬৩ হাজার ১৯৩ জন।

এসএ/