গণতন্ত্র ফেরাতে নেতাকর্মীরা প্রাণ দেবে :ফখরুল


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:০৭ পূর্বাহ্ন, ১১ই অক্টোবর ২০২২


গণতন্ত্র ফেরাতে নেতাকর্মীরা প্রাণ দেবে :ফখরুল
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে গণতন্ত্র ফেরাতে বিএনপির হাজারও নেতাকর্মী প্রাণ দেবে। তিনি বলেন, আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনতে চাই। এ জন্য আমাদের সাতজন নেতাকর্মী প্রাণ দিয়েছে। আরও হাজারো লোক প্রাণ দেব। গণতন্ত্রকে অবশ্যই ফিরিয়ে আনব।


আজ সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। 


সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, এখনও সময় আছে, বোধোদয় করেন। কয়েকটি মিটিংয়ে আমি বলেছি, সেইফ এক্সিট করেন, চলে যান, ক্ষমতা ছাড়েন। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দেন, সংসদ বিলুপ্ত করেন। নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে করে নতুন পার্লামেন্ট ইলেকশন দেন। তারা নতুন করে সরকার গঠন করবে, দেশে নতুন একটা সরকার ব্যবস্থা চালু হবে। তা না হলে পালানোর পথটাও খুঁজে পাবেন না।


মির্জা ফখরুল আরও বলেন, জনগণের উপর আমাদের আস্থা আছে। এদেশের মানুষ কোনো দিন অন্যায়কে মেনে নেয়নি, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে তারা কাউকে জয়ী হতে দেয়নি। গণতন্ত্রের পক্ষে তারা লড়াই করেছে আজ থেকে নয়, দীর্ঘকাল থেকে, শতবর্ষ থেকে। সেই দেশের মানুষ জেগে উঠছে। এখন আর বলতে হয় না যে, জেগে ওঠো। আমি শুধু অনুরোধ করব আমাদের তরুণ ও যুব সমাজকে আরও এগিয়ে আসুন। শুধুমাত্র নিজের কথা চিন্তা না করে, নিজের ভাগ্যের কথা চিন্তা না করে দেশের কথা চিন্তা করুন, দেশের মানুষের কথা চিন্তা করুন।


বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের নেতা স্লোগান দিয়েছেন, টেক ব্যাক বাংলাদেশ। অর্থাৎ আমরা সেই বাংলাদেশ ফেরত চাই যা ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করে স্বাধীন করেছিলাম। যেখানে সমস্ত মানুষের অধিকারকে রক্ষার জন্যে স্বাধীন করেছিলাম। সাম্য, মানবিক মূল্যবোধ এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করার জন্য একটা রাষ্ট্র তৈরি করেছিলাম। 


মির্জা ফখরুল বলেন, এখন দিনে ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং থাকে। অথচ কত ঢাক-ঢোল পিটিয়ে আতশবাজি ফুটিয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুতের পুরোপুরি স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে গেছে, আর কোনো অসুবিধা নেই, এসব কথা বলা হয়েছিল। আর এখন সীমাহীন লোডশেডিং হচ্ছে। কারণ কী? সরকারে চুরি, দুর্নীতি। কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট করে তারা সমানে চুরি করে নিয়ে গেছে। ক্যাপাসিটি চার্জ ২৮ হাজার কোটি টাকা এক বছরে দিতে হয়েছে এবং দিতেই হচ্ছে।


গার্মেন্টসের অবস্থা খারাপ হয়ে আসছে দাবি করে বিএনপির এ নেতা বলেন, পৃথিবীতে চাহিদা কমে আসছে। একদিকে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ছে, গ্যাসের দাম বাড়ছে। অন্যদিকে ডলারের দাম বেড়ে গেছে। ফলে গার্মেন্টেস ব্যবসা যারা করেন তাদের টিকে থাকাই মুশকিল হয়ে গেছে। শ্রমিকদের অবস্থা ত্রাহি। 


তিনি আরও বলেন, আমি তো বাজারে খুব কম যাই, সময় পাই না। আমার স্ত্রী যান। প্রতিদিন আমার স্ত্রী অভিযোগগুলো তুলে ধরেন যে, আর বাজারে যাওয়া যাবে না, যেভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে সেগুলো আর ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নেই। এই হচ্ছে সাধারণ মানুষের অবস্থা।


জেহাদ স্মৃতি পরিষদের সভাপতি নব্বই সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও খায়রুল কবির খোকনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক ছাত্র নেতা শামসুজ্জামান দুদু, আসাদুজ্জামান রিপন, হাবিবুর রহমান হাবিব, ফজলুল হক মিলন, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল প্রমুখ।

জেবি/ আরএইচ/