রাষ্ট্রপতি নিয়ে বিএনপির আগ্রহ নেই: মোশাররফ
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:২২ পূর্বাহ্ন, ১৩ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে বিএনপির ‘কোনো আগ্রহ নেই’। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সাহাবুদ্দিন চুপপুকে মনোনয়ন দেওয়া সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এই সরকার কী করছে-না করছে, এসব বিষয়ে আমরা কোনো মন্তব্য করতে চাই না।
রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা আজকে প্রেস ব্রিফিং ডেকেছি গতকালের ইউনিয়ন পদযাত্রায় সংঘটিত বিষয়গুলো আপনাদের অবহিত করার জন্য। আপনারা তো জানেন যে ১০ দফা আমাদের দাবি, প্রথম দফা হচ্ছে যে, এই অবৈধ স্বৈরাচারী সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন।
বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তার দ্বিতীয় মেয়াদের শেষ প্রান্তে রয়েছেন। ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন তিনি। সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, মেয়াদ অবসানের কারণে রাষ্ট্রপতি পদ শূন্য হওয়ার ক্ষেত্রে মেয়াদপূর্তির তারিখের আগের ৯০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হয়। ফলে ২৪ জানুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের।
ইসি ১৯ ফেব্রুয়ারি ভোটের দিন রেখে তপশিল ঘোষণা করে। সে অনুযায়ী, রোববার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে।
সকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নির্বাচন কমিশনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হিসেবে সাহাবুদ্দিন চুপপুর নাম প্রস্তাব করে মনোনয়নপত্র রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ‘নির্বাচনী কর্তা’ নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের কাছে জমা দেন।
শনিবার সারা দেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা কর্মসূচিতে বাধা প্রদান, ক্ষমতাসীন দলের পাল্টা কর্মসূচি, হামলা ও গ্রেফতারের নানা ঘটনা তুলে ধরতেই সকাল সাড়ে ১১টায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন ডাকেন খন্দকার মোশাররফ।
বিজ্ঞাপন
পাঠকপ্রিয়
আরও পড়ুন

তারেক রহমানকে চীন সফরে আমন্ত্রণ চীনা কমিউনিস্ট পার্টির

শহীদদের দলীয়করণ করলে তাদের অবমূল্যায়ন করা হবে: ডা. জাহিদ হোসেন

খেলাধুলা ও ক্রীড়াঙ্গন রাজনীতি মুক্ত থাকা উচিত : মির্জা ফখরুল

তারেক রহমানের দেশে ফেরার নেপথ্যে নিরাপত্তা ও নির্বাচন
