ঢাকা কলেজের মূল ফটকের দুই পাশে ময়লার ভাগাড়
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪:৩৪ অপরাহ্ন, ২৬শে সেপ্টেম্বর ২০২৩

১৮৪১ সালে স্থাপিত দেশের অন্যতম প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা কলেজ। কালের বিবর্তনে সর্বশেষ ঠাঁই হয়েছে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায়। ১৮ একরের প্রাচীন এই ক্যাম্পাসে প্রতিদিন প্রায় ১৮ হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থীর পদচারণ।
কিন্তু ক্যাম্পাসের মূল ফটকের দুই পাশে ময়লার ভাগাড়, চিপস, পলিথিন,ভাঙা বেন্স, ময়লায় ভরপুর,বেশির জায়গায় হকারদের দখলে। ফলে,ক্যাম্পাসের মূল ফটকের সৌন্দর্য নষ্ট হয়েছে।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, দুপাশের বসার স্থানগুলোর পাশে নিচে পড়ে আছে ছোট ছোট পলিথিন, ময়লা,আবর্জনা,পানির ছোট ছোট জার,ভাঙা বেন্স,চৌকি, চেয়ার আবার চৌকির সাথে শিকল দিয়ে বাঁধা। ফুটপাতের হকারদের বিভিন্ন জিনিসপত্র রাখা। রাতের বেলায় অনেক সময় মূল ফটক অন্ধকার দেখা যায় কেননা লাইটগুলো বেশিরভাগ নষ্ট। আবার,অনেককে দেয়ালে প্রসব করতে দেখা যায়, দেখে মনে হয় যেন প্রসবাগার।
জাহিদ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন,আমাদের ক্যাম্পাস মেইন পয়েন্টে অবস্থিত। দূর-দূরান্ত থেকে সবাই নিউমার্কেটে আসেন,ক্যাম্পাসে র সামনের মূল ফটকের সামনে বসার স্থানগুলোর পাশে ময়লা, আবর্জনাতে ভর্তি,অপরিষ্কার। সন্ধ্যা বেলা অনেক শিক্ষার্থী এখানে আড্ডা দেন,ময়লা -আবর্জনার ফলে ডেঙ্গু মশার প্রার্দুভাব বাড়তে পারে। আর হকারদের অনেক জিনিসপত্র রাখা থাকে। অনেকে দেয়ালে প্রসব করে যা অত্যন্ত দুঃখজনক।মূল কথায়,একটা ক্যাম্পাসের মূল ফটক হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়।
আরিফ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ক্যাম্পাসের মূল ফটকের দেয়াল পাশের দেয়াল পোস্টারে পরিপূর্ণ থাকে, সরকারী দল থেকে শুরু করে সব দলের পোস্টার বাদ যায় না কোনো দল। রাতের বেলা মূল ফটক অন্ধকার থাকে।আর একটা ক্যাম্পাসের মূল ফটক সৌন্দর্য থাকা উচিত। কলেজ প্রশাসন সুনজর দিলে সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করি।
এই বিষয়ে ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, অভিযোগ গুলো আংশিক সত্য। বিষয়টি আমার চোখে পড়েছে গুরুত্ব সহকারে দেখছি, যারা এগুলো করে তাদেরকে খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন,আগের থেকে ঢাকা কলেজে ছাত্রসংখ্যা দশ হাজার কমে গেছে। এত বড় ক্যাম্পাসে অনেক সমস্যা আছে, সমাধান করার চেষ্টাও করছি । আমরা কিছু বাজেট পাবো। আর একান্ত প্রয়োজনীয় সমস্যাগুলো সমাধান করার চেষ্টা করছি।
আরএক্স/