বাবার স্বপ্ন ছিলো আমি বড় আলেম হব

বাবার স্বপ্ন ছিলো ছেলে বড় আলেম হবে। বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে মাদ্রাসা থেকে তাই দাখিল ও আলিম শেষ করেন। ছিলো না জজ হওয়ার কোনো স্বপ্ন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকানোর আগেই হয়ে গেলেন সহকারী জজ! বলছিলাম ষোড়শ বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের (বিজেএস) সহকারী জজে সুপারিশ প্রাপ্ত আরিফ হোসেনের কথা।

আরিফ হোসেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বর্তমানে স্নাতকোত্তর (এল.এল.এম) অধ্যয়নরত। তিনি লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার মৃত আব্দুল মতিন ও জাকিয়া বেগম দম্পতির তৃতীয় সন্তান।

তবে ২০১৭ সালে আইন বিভাগে ভর্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত জজ হওয়ার কোনো স্বপ্ন ছিলো না বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, আমার কখনই স্বপ্ন ছিলো না যে আমি জজ হতে পারবো বা আমার দ্বারা কখনো জজ হওয়া সম্ভব। বাবার অনেক দিনের স্বপ্ন ছিলো আমাকে বড় আলেম বানাবে। তাই কেথুড়ী বি,এফ ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ২০১৪ সালে জিপিএ ৫ পেয়ে দাখিল এবং টুমচর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে ২০১৬ সালে জিপিএ ৫ পেয়ে আলিম শেষ করি। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর বিভাগের বড়ভাই ও আপুদের সাফল্য আমাকে জজ হওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করেছে। তখন থেকেই আমার এই জীবনযুদ্ধ শুরু।

তিনি বলেন, দ্বিতীয় বর্ষ থেকে আমি একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বড়ভাইদের সান্নিধ্যে থেকে জুডিশিয়ারির জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করি। এই সময়টাতে আমার গর্ভধারিণী মা, পিতৃতুল্য বড় ভাই, চাচা, মামা, বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজনরা আমাকে এ সুদীর্ঘ পথ চলায় অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। আল্লাহর অশেষ রহমতে ও আমার কঠোর পরিশ্রম দ্বারা প্রথমবারেই আমি আমার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছি। 

পরিশ্রম করলে আল্লাহ কখনো নিরাশ করবে না বলে মনে করেন আরিফ হোসেন। তিনি বলেন, আমি মনে করি এমন একটা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ, কঠোর অধ্যবসায় এবং আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমত প্রয়োজন।

এছাড়াও তিনি তার অনুজদের উদ্দেশ্যে বলেন যে, সফলতা সহজেই আসে না, এটিকে অর্জন করে নিতে হয়। তার জন্য প্রয়োজন দৃঢ় সংকল্প, পরিশ্রম করার মানসিকতা এবং আল্লাহর প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস।

আরএক্স/