রাসুল (সা.) যেভাবে রমজানের প্রস্তুতি নিতেন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৭ অপরাহ্ন, ২৪শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫

নাবি কারিম (সা.) রজব মাস থেকেই রমজানের জন্য প্রস্তুতি নিতেন। রজব এলেই মহা নবি (সা.) রমজানের বরকত লাভের দোয়াটি করতেন। শাবান মাসেও দোয়াটি পাঠ করতেন তিনি। শাবান মাসে নাবি কারিম (সা.) রমজানের রোজার প্রস্তুতি গ্রহণের পদ্ধতি কেমন ছিল, যেনে নেওয়া যাক—
আরও পড়ুন: শিশুদেরকে রোজা রাখার জন্য আগ্রহী করবেন যেভাবে
শাবান মাসে রোজা রাখা
রমজানের প্রস্তুতির জন্য মহা নবি সা. শাবান মাসে বেশি বেশি নফল রোজা রাখতেন। তিনি এই মাসে অন্য যেকোনো মাসের তুলনায় বেশি নফল রোজা রাখতেন।
শাবানের শেষে রমজানের চাঁদ দেখতেন
রমজানসহ যেকোনো আরবি মাস শুরুর আগে রাসূল সা. সেই মাসের চাঁদ দেখতেন। এবং তিনি প্রতি শাবানের শেষে চাঁদ দেখে রমজান মাস শুরু করার কথা বলেছেন।
নতুন চাঁদ দেখলে নাবি কারিম সা. দোয়া পড়তেন। দোয়াটি হলো—
اَللّهُّمَّ أَهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالْيُمْنِ وَالْإِيْمَانِ وَالسَّلاَمَةِ وَالْإِسْلاَمِ رَبِّيْ وِرَبُّكَ الله
অর্থ : হে আল্লাহ! এ চাঁদকে ঈমান ও নিরাপত্তা, শান্তি ও ইসলামের সঙ্গে উদিত করুন। আমার ও তোমার প্রভু আল্লাহ। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫২৬)
শাবান মাসে মহা নবি সা. বেশি বেশি রমজান মাস সর্ম্পকে আলোচনা করতেন। এই মাসের ফজিলতের কথা বলতেন। রোজাদারে জন্য আল্লাহ তায়ালা কী কী পুরস্কার রেখেছেন তা আলোচনা করতেন।
আরও পড়ুন: বিরল দিনে শুরু হচ্ছে এবারের মাহে রমজান
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের নিকট বরকতময় রমজান আগমন করেছে। আল্লাহতায়ালা তার রোজাকে তোমাদের জন্য ফরজ করেছেন। এ মাসে আসমানের দরজা খুলে দেওয়া হয়, জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়, শয়তানকে আবদ্ধ করে রাখা হয় এবং তাতে রয়েছে আল্লাহর জন্য এমন রাত যা হাজার রাত থেকে উত্তম। যে এ মাসের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো- সে প্রকৃতার্থেই বঞ্চিত হলো। ’ (সুনানে নাসায়ি
এসডি/