শিশুদেরকে রোজা রাখার জন্য আগ্রহী করবেন যেভাবে

শিশুরা অনেক সময় প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার আগেই রোজা রাখার জন্য আগ্রহী হয়।
বিজ্ঞাপন
ইসলামে প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার আগ পর্যন্ত রোজা রাখার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তবে শিশুরা অনেক সময় প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার আগেই রোজা রাখার জন্য আগ্রহী হয়।
আরও পড়ুন: বিরল দিনে শুরু হচ্ছে এবারের মাহে রমজান
বিজ্ঞাপন
আপনার শিশুকে প্রথমবারের মতো রোজা রাখার জন্য আগ্রহী করতে চাইলে কিছু টিপস মানতে পারেন, যা শিশুর জন্য রমজান আনন্দদায়ক করে তুলবে।
বিজ্ঞাপন
ফাইল ছবি
শিশুকে ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী রমজান মাসে রোজার মূল বিষয়গুলো বোঝান, রোজা রাখার কারণ এবং সওয়াবের বিষটি বলুন। রোজার শিষ্টাচার সম্পর্কে বুঝানোর চেষ্টা করুন, যেমন ভালো আচরণ করা, অভাবগ্রস্তকে সাহায্য করা, অতিরিক্ত কথা বলা বা গালিগালাজ করা থেকে বিরত থাকা, সময়মতো নামাজ পড়া ইত্যাদি।
বিজ্ঞাপন
সেহরি এবং ইফতারের গুরুত্ব সম্পর্কেও স্পষ্ট ধারণা দিতে হবে।
বিজ্ঞাপন
দৈনন্দিন রুটিন ঠিক রেখে শিশুদের রোজা রাখার আগ্রহী করতে কিছু টিপস দিয়েছেন দুবাইয়ের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. জাভেদ শাহ।
সেহরিতে সময়মতো উঠতে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে দিন। এর ফলে শিশুদের ঘুমের কোনো ঘাটতি হবে না। ক্লাসেও মনোযোগী হতে পারবে ঠিকমতো।
বিজ্ঞাপন
সেহরির খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর কিছু অবশ্যই রাখুন। সেহরিতে শক্ত খাবারের পাশাপাশি তাজা জুস এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর পানীয় পান করতে দিন। এটি শিশুদের শরীর সারাদিন হাইড্রেটেড থাকতে সাহায্য করবে।
বিজ্ঞাপন
সেহরির খাবারের জন্য তাড়াহুড়ো না করে নিশ্চিন্তে খেতে দিন। তাদের সঙ্গে আপনার প্রথম রোজা রাখার স্মৃতিচারণ করুন। এবং রমজানের পরিবেশ আনন্দদায়ক করে তুলুন।
বিজ্ঞাপন
রমজানের দিনগুলো তাদের জন্য আনন্দময় করে তুলুন। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে ইবাদত পালনের পরিবেশ তৈরি করুন। বিভিন্ন দাতব্য সংস্থায় দান, দরিদ্র শিশুদের খাওয়ানোর কাজে সময় কাটাতে দিন। শক্তি ক্ষয় হয় এমন কাজ থেকে বিরত রাখুন।
বিজ্ঞাপন
ইফতার তৈরির কাজে তাদের যুক্ত করুন। তাদের পছন্দের খাবার তৈরি করুন। খেজুর এবং পানির মাধ্যমে রোজা ভাঙার প্রতি উৎসাহিত করুন। ইফতারে ভাজাপোড়া এড়িয়ে চলুন, স্বাস্থ্যকর খাবারে অভ্যস্ত করে তুলুন।
বিজ্ঞাপন
এসডি









