হতাহতদের হাসপাতালে আনা অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন ভয়াবহতার চিত্র দেখে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:২৬ এএম, ২২শে জুলাই ২০২৫

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় বহু ছাত্র-ছাত্রী দগ্ধ হয়েছে। আহত শিশুদের অনেকের শরীর এতটাই পুড়ে গেছে যে, চিকিৎসার জন্য হাতে ক্যানোলা বসানোরও সুযোগ ছিল না বলে জানিয়েছেন উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মো. আনারুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, আহতদের অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে, যারা তাদের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে এসেছিলেন তাদের অনেকেও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
সোমবার (২১ জুলাই) রাতে হাসপাতালের সামনে ডা. আনারুল বলেন, “প্রথম ধাপে যারা এসেছে, তাদের শরীরের অধিকাংশই দগ্ধ ছিল। শুরুতে যে ৫০ জন শিশু এসেছিল, তাদের মধ্যে অনেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত দগ্ধ ছিল। ৩০ শতাংশের ওপর ছিল অধিকাংশের দগ্ধতা। এসব শিশুকে আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটসহ অন্যান্য হাসপাতালে পাঠিয়েছি। এমন কিছু শিশু ছিল, যাদের শরীর এতটাই পুড়েছিল যে, হাতে ক্যানোলা পর্যন্ত বসানো যায়নি। আমাদের এখানে বার্ন ইউনিট না থাকায়, প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত বার্ন হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
আরও পড়ুন: উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত: জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে আরও দুজনের মৃত্যু
তিনি আরও বলেন, “যারা এসব শিশুদের হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন, তাদের অনেকেই মানসিক ট্রমায় ভুগছিলেন। অনেকের শ্বাসকষ্ট, দম বন্ধ হওয়া, প্রেসারের ওঠানামাসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাদেরও আমরা চিকিৎসা দিয়েছি। এখন পর্যন্ত আমরা অনেক রোগীকে ছুটি দিয়েছি। বর্তমানে আমাদের এখানে ২০ থেকে ২৫ জন রোগী রয়েছেন। তারা সংক্রমণমুক্ত এবং কারও রক্ত বা আইসিইউ প্রয়োজন নেই।” সূত্র: বাসস।
এমএল/