যে অভ্যাসগুলো আপনাকে সবার কাছে প্রিয় করে তুলবে

যেকোনো কর্মক্ষেত্র, শ্রেণীকক্ষ বা সামাজিক পরিসরে কিছু মানুষকে সবসময় আলাদা করে চোখে পড়ে। তারা কোনো উচ্চস্বরে কথা বলার জন্য নয়, বরং নীরবে এক ধরনের ইতিবাচক আভা ছড়িয়ে দেয়। তাদের সঙ্গে সবাই কথা বলতে চায়, তাদের কাছে সহজেই টান অনুভব করে। এর পেছনে বিশেষ কোনো ভাগ্য বা অসাধারণ প্রতিভা নয়, বরং কিছু ছোট কিন্তু নিয়মিত অভ্যাস কাজ করে। এসব অভ্যাসই তাদেরকে অন্যদের চোখে প্রিয় ও বিশ্বাসযোগ্য করে তোলে।
১️ প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা
এ ধরনের মানুষ কথা ও কাজের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রাখে। সহজ কথায় তারা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। যা বলে তা পালন করে। ফলে অন্যদের কাছে তারা নির্ভরযোগ্য হয়ে ওঠে। ছোট কোনো প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করলেও মানুষের মনে সেই ব্যক্তির প্রতি আস্থা কমে যায়। তাই যে মানুষ প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে, সে স্বাভাবিকভাবেই অন্যদের ভালোবাসা পায়।
২.ভুল না করে ভুল স্বীকার করা
বিজ্ঞাপন
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত। তবে কে কীভাবে নিজের ভুল স্বীকার করছে অথবা আদৌ স্বীকার করছে কি না, তার ওপর অনেককিছু নির্ভর করছে। অন্যের কাছে পছন্দনীয় ব্যক্তিরা দোষ এড়ানো বা কাল্পনিক গল্প তৈরি করার পরিবর্তে, তারা সরাসরি নিজের ভুল স্বীকার করে। জবাবদিহিতা এবং নম্রতা এ ধরনের মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যায়, অন্যের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলে। ভুল স্বীকার করেই তারা নিখুঁত হয়ে ওঠে।-
৩.ক্রেডিট শেয়ার
বিজ্ঞাপন
অন্যকে কৃতিত্ব দিতে যারা কার্পণ্য করেন না, তাদেরকে কে না পছন্দ করবে! এই ছোট্ট অভ্যাসই আপনাকে অন্যের কাছে প্রিয় করে তুলবে। যখন কেউ দেখবে যে তার কৃতিত্বের স্বীকৃতি মিলছে, তখন নিজ থেকেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পাবে। মন খুলে অন্যের প্রশংসা সবাই করতে পারে না। যারা পারে, মানুষ তাদেরই ভালোবাসে। তাদের এই ছোট ছোট কাজগুলোই বাকিদের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকে, আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়।
৪.অন্যদের সময়কে গুরুত্ব দেওয়া
সময়ই একমাত্র সম্পদ যা একবার চলে গেলে আর ফেরে না। যারা অন্যের সময় নষ্ট না করে বরং গুরুত্ব দিয়ে ব্যবহার করে, তারাই মানুষের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠে। সময়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া একটি বড় গুণ, যা মানুষকে সম্মানের আসনে বসায়।
বিজ্ঞাপন