‘শিক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি’

শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেছেন, শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা নিয়ে আজ একটি বাস্তবসম্মত ও গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। এখন তাদের ক্লাসে ফিরে না যাওয়ার কোনো কারণ নেই।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতির আদেশ শিক্ষক নেতা আজিজীর হাতে হস্তান্তর করেন।

অধ্যাপক আবরার বলেন, “আমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই শিক্ষকদের বিষয়ে আন্তরিক ছিলাম। শিক্ষকরা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তাদের দাবি যুক্তিসঙ্গত ছিল এবং আমরা সেটি বাস্তবায়নে চেষ্টা করেছি। মানসিকভাবে আমাদের শিক্ষকরা আরও বেশি পাওয়ার যোগ্য—এ কথা আমি প্রধান উপদেষ্টা ও অন্যান্য উপদেষ্টাদের সঙ্গেও আলোচনা করেছি। আজকের এই অগ্রগতি সেই প্রচেষ্টার ফল।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা সবসময় শিক্ষকদের বিষয়ে সচেষ্ট থাকব—এই বার্তাই আমরা বিশ্ব শিক্ষক দিবসে দিয়েছিলাম।”

আরও পড়ুন: আগামীকাল থেকে ক্লাসে ফিরবেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা

এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আজকের এই মুহূর্ত শিক্ষা বিভাগের জন্য একটি ঐতিহাসিক অর্জন। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া মূল বেতনের ১৫ শতাংশে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হচ্ছে দুই ধাপে। চলতি বছরের নভেম্বর থেকে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ (ন্যূনতম ২ হাজার টাকা) এবং ২০২৬ সালের জুলাই থেকে আরও ৭ দশমিক ৫ শতাংশ যোগ হয়ে মোট ১৫ শতাংশ বাড়িভাড়া কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই সাফল্যের পথ সহজ ছিল না। নানা মতভেদ, বিতর্ক ও অভিযোগ পেরিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ধীরে ধীরে একটি ন্যায্য ও টেকসই সমাধানের দিকে এগিয়েছে। নেপথ্যে থেকে শিক্ষা উপদেষ্টা ও মন্ত্রণালয় একযোগে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, উপদেষ্টা পরিষদ ও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কাজ করেছেন যাতে শিক্ষকদের দাবি শোনা ও বোঝা হয়।

আরও পড়ুন: এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ১৫ শতাংশে উন্নীত, দুই ধাপে কার্যকর

মন্ত্রণালয় মনে করে, এটি কারও একার জয় নয়—এটি একটি যৌথ সাফল্য। শিক্ষকদের আন্দোলন বাস্তবতা স্পষ্ট করেছে, সরকার দায়িত্বশীলভাবে সাড়া দিয়েছে, আর সম্মান, সংলাপ ও সমঝোতাই শেষ পর্যন্ত জয়ী হয়েছে।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, “এখন সময় শিক্ষার্থীদের কাছে ফিরে যাওয়ার, ক্লাসে ফেরার—আমাদের মূল দায়িত্বের জায়গায়। আজকের এই সমঝোতা হোক পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বোঝাপড়া ও শিক্ষাকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করানোর নতুন সূচনা।”

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, “পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও গুণগত শিক্ষার প্রসার ঘটিয়ে আমরা বাংলাদেশকে আরও মর্যাদাসম্পন্ন অবস্থানে নিয়ে যেতে পারব।”