সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা শিগগিরই, চলছে ইসির বৈঠক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) চূড়ান্ত প্রস্তুতি যাচাই করছে। এসব প্রস্তুতির সর্বশেষ অবস্থা পর্যালোচনার জন্য আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয়েছে ইসির ১০তম সভা।
বিজ্ঞাপন
বৈঠক শেষে যেকোনো দিন জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানা গেছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব এবং সংশ্লিষ্ট শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন। রাজনৈতিক দল, মাঠ প্রশাসন, ভোটার তালিকা, এনআইডি সংশোধনসহ নির্বাচন আয়োজনের প্রতিটি ধাপ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
কোন কোন বিষয় থাকছে আলোচায়?
আইনগত ও প্রশাসনিক করণীয় : তফসিল ঘোষণার আগে ও পরে কমিশনের দায়িত্ব, আইনি প্রক্রিয়া এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে সমন্বয় নিশ্চিতকরণ।
নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি : জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের সার্বিক অগ্রগতি, ভোটকেন্দ্র ব্যবস্থাপনা, লজিস্টিক সাপোর্ট, নিরাপত্তা–সব মিলিয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতির মূল্যায়ন।
বিজ্ঞাপন
মাঠ পর্যায়ের সমন্বয় : জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ, মতবিনিময় ও সমন্বয় কাঠামো শক্তিশালী করার বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে।
রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন : নতুন দল নিবন্ধন, পুরনো নিবন্ধনের যাচাই–বাছাই এবং সংশ্লিষ্ট নীতিমালা পর্যালোচনা।
এনআইডি তথ্য সংশোধন : জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন প্রক্রিয়া সহজ করা, আবেদন যাচাই এবং সংশোধন–সংক্রান্ত স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) প্রস্তুত করা।
বিজ্ঞাপন
মক ভোটের অভিজ্ঞতা : ২৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত মক ভোটে পাওয়া মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতা, ভোটকেন্দ্রের কারিগরি ব্যবস্থাপনা এবং সুপারিশ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
স্মার্ট কার্ড ও আর্থিক নিষ্পত্তি : বিএমটিএফ থেকে আইডিইএ প্রকল্পে পার্সোনালাইজেশন সেন্টারের ৯টি মেশিন হস্তান্তর, পূর্বের বকেয়া বিল পরিশোধ এবং ২ কোটি ৩১ লাখ স্মার্ট কার্ড পার্সোনালাইজেশন সংক্রান্ত অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা। পাশাপাশি অতিরিক্ত দাবি করা ১৪ লাখ স্মার্ট কার্ডের বিল পরিশোধ নিয়ে আলোচনা।
বিজ্ঞাপন
ক্রয়–সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত : স্মার্ট কার্ড পার্সোনালাইজেশন ও ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত লেখা মুদ্রণ–সংক্রান্ত ক্রয় প্যাকেজ (এনসিএস-২৭) বাস্তবায়ন।
এ ছাড়া নির্বাচন আয়োজনে প্রয়োজনীয় আনুষঙ্গিক বিষয়ও বৈঠকে গুরুত্বের সঙ্গে আলোচিত হবে। আজকের বৈঠকের পর নির্বাচন কমিশন যেকোনো সময় তফসিল ঘোষণা করতে পারে—এমন ইঙ্গিতেই বাড়ছে রাজনৈতিক অঙ্গনের উত্তাপ ও সাধারণ ভোটারদের আগ্রহ।








