কয়েক লাখ মানুষের ঢলে শহীদ হাদির স্মরণকালের বৃহত্তম জানাজা

জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় কয়েক লাখ মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলো ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির জানাজা।
বিজ্ঞাপন
জানাজায় অংশ নেওয়া মানুষের ভাষ্য অনুযায়ী, এটি স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জানাজাগুলোর একটি। অনেকের ধারণা, এই জানাজায় ৭ থেকে ৮ লাখ মানুষ অংশ নিয়েছেন।
ধানমন্ডির বাসিন্দা ৬৫ বছর বয়সী ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, জীবনে অনেক জানাজায় অংশ নিয়েছি, কিন্তু এমন জনসমুদ্র কখনো দেখিনি। শহীদ হাদি এখন স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রতীক—এ কারণেই মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এসেছে।
বিজ্ঞাপন
মিরপুর-১ নম্বরের বাসিন্দা মাসুদ রানা বলেন, আমার ৪২ বছরের জীবনে এত বড় জানাজা দেখিনি। আমার ধারণা অন্তত ৭–৮ লাখ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা আকিব হাসান জানান, সংখ্যা বলা কঠিন, তবে এত মানুষের সমাগম আমি কখনো দেখিনি।
সেগুনবাগিচার সালাউদ্দিনের ধারণা, জানাজায় উপস্থিতি ছিল ৬ থেকে ৭ লাখ মানুষের মতো।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটায় শহীদ ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তার বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক জানাজায় ইমামতি করেন। দুপুর ১টার মধ্যেই জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার দুটি বিশাল মাঠ জনসমুদ্রে পরিণত হয়। পরে মানুষের ঢল ছড়িয়ে পড়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ পেরিয়ে ফার্মগেটের খামারবাড়ি ও আসাদগেট পর্যন্ত। এমনকি চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র এলাকাতেও মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ সব রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা অংশ নেন। জানাজার আগে শহীদ হাদির বড় ভাইয়ের বক্তব্যের সময় লাখো মানুষের চোখে অশ্রু দেখা যায়—পুরো পরিবেশ হয়ে ওঠে আবেগে ভারাক্রান্ত।
বিজ্ঞাপন
জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকেই মানুষ দলে দলে মিছিল সহকারে কিংবা ব্যক্তিগত উদ্যোগে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের দিকে আসতে থাকেন। রাজধানীর যেন সব পথ এসে মিশে যায় এক মোহনায়।








