রাজধানীতে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:১০ অপরাহ্ন, ৩০শে মার্চ ২০২৪
আসন্ন ঈদুল ফিতর সামনে রেখে ক্রেতাদের ভিড়ে জমে উঠেছে রাজধানীর ফুটপাত থেকে শুরু করে বিভিন্ন মার্কেট ও শপিংমলের বিপণিবিতানগুলো।
শনিবার (৩০ মার্চ) সাপ্তাহিক ছুটির দিন। এদিন বিকেলে রাজধানীর নিউমার্কেট, বসুন্ধরা সিটি শপিং মল, গাউসিয়া মার্কেট, চাঁদনি চক মার্কেট, মৌচাক মার্কেটে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকাতে অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে মার্কেটে এসেছেন। তবে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে, নারীদের শাড়ি, থ্রিপিসসহ বিভিন্ন পোশাক, জুতা ও প্রসাধনী সামগ্রীর দোকানগুলোতে। মার্কেটের পাশাপাশি ফুটপাতের দোকানগুলোতেও ছিল ক্রেতাদের প্রচুর ভিড়।
আরও পড়ুন: ঈদের দিন বন্ধ থাকছে মেট্রোরেল
লাল মিয়া নামের এক ক্রেতা জানান, শেষ মুহূর্তে কেনাকাটা করতে এলে মার্কেটে প্রচুর ভিড় থাকে। লোকজনের ভিড়ে পা ফেলা যায় না। সেজন্য আগেভাগেই ঈদের কেনাকাটা করতে নিউমার্কেটে এসেছি। তবে এখানে এসে দেখছি আরও অনেকেই কেনাকাটা করতে এসেছেন। মানুষের প্রচুর ভিড়। এখনও কিছু কিনিনি, ঘুরে ঘুরে দেখছি কী কেনা যায়।
গাউসিয়া মার্কেট একজন বিক্রেতা জানান, গরম বাড়ছে, তাই গরমে পরার উপযোগী পোশাকগুলোই তারা তাদের দোকানে সাজিয়েছেন। ক্রেতারাও গরমে আরামদায়ক হবে এমন পোশাক কিনছেন। ঈদ সামনে তাই তাদের বিক্রিও বেড়েছে।
আরও পড়ুন: এবারের ঈদযাত্রায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শেষ
তবে ক্রেতারা বলছেন, “অন্য যে কোনো বারের তুলনায় এবার ঈদের পোশাকের দাম অনেক বেশি। চাহিদার বিপরীতে অল্প কেনাকাটা করেই বাড়ি ফিরছেন অনেকে।”
বাচ্চাদের ঈদ কেনাকাটা আগেভাগে সেরে রাখতে রামপুরে থেকে বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে এসেছেন শারমীন সাথী। তিনি বলেন, বাচ্চাদের তো ঈদের খুশিটা অনেক বেশি। তাই তাদের জন্য ঈদের কেনাকাটা করতে চলে এসেছি। এখন ওদের পছন্দ অনুযায়ী, ঘুরে ঘুরে কেনাকাটা করার চেষ্টা করছি। তবে সবকিছুর দাম অনেক বেশি। আমাদের জন্য হয়তো তেমন কিছু না কিনলেও চলে। কিন্তু বাচ্চাদের জন্য তো না কিনলে হয় না।
এদিকে, ঈদ সামনে রেখে মধ্যবিত্তের শেষ ভরসা হয়ে উঠেছে রাজধানীর ফুটপাতের বাজারগুলো। শখ ও সাধ্যের মধ্যে যতটা সম্ভব মিল ঘটাতেই নিম্ম আয়ের ক্রেতাদের প্রথম পছন্দ ফুটপাতের দোকানগুলো। বিক্রেতাদের দাবি ফুটপাতের দোকানে দাম তেমন বাড়েনি।
কামাল নামে রাজধানীর পান্থপথের ফুটপাতের দোকানের বিক্রেতা জানান, যাদের আয়-রোজগার কম তারাই মূলত ফুটপাতের দোকানগুলোতে কেনাকাটা করতে আসেন। আমরাও তাদের কাছে সীমিত লাভে পণ্য বিক্রি করে থাকি। কারণ আমরা চাই সবাই আনন্দের সঙ্গে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদ করুক। ঈদে বিক্রিও ভালো হচ্ছে বলে জানান তিনি।
জেবি/এসবি