Logo

শবে কদর আসলে কত রমজানে?

profile picture
জনবাণী ডেস্ক
৩১ মার্চ, ২০২৪, ২২:৩৪
134Shares
শবে কদর আসলে কত রমজানে?
ছবি: সংগৃহীত

লাইলাতুল কদর কেন হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম এর সরাসরি উত্তর আল্লাহতায়ালাই ভালো জানেন

বিজ্ঞাপন

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা এই রাতের ফজিলত সম্পর্কে বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আমি কোরআন নাজিল করেছি কদর (মর্যাদাপূর্ণ) রজনীতে। আপনি কি জানেন মহিমাময় কদর রজনি কী? মহিমান্বিত কদর রজনি হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। সে রাতে ফেরেশতাগণ হজরত জিবরাইল (আ.) সমভিব্যাহারে অবতরণ করেন; তাঁদের প্রভু মহান আল্লাহর নির্দেশ ও অনুমতিক্রমে, সব বিষয়ে শান্তির বার্তা নিয়ে। এই শান্তির ধারা চলতে থাকে উষার উদয় পর্যন্ত।’ (সুরা-৯৭ কদর, আয়াত: ১-৫)। 

লাইলাতুল কদর কেন হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম এর সরাসরি উত্তর আল্লাহতায়ালাই ভালো জানেন। তবে পবিত্র কোরআন ও একাধিক হাদিসের ভাবার্থ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, এ রাতে কোরআনে কারিম নাজিল হয়েছে বলে এ রাত হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

শবে কদর কোন তারিখে?

কিন্তু রমজানের কোন রাতটি শবে কদরের তা নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি কোরআন ও হাদিসে। তবে এ সম্পর্কে কতগুলো নিদর্শন দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতে কদর তালাশ করতে বলেছেন।  

হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতে লাইলাতুল কদরের সন্ধান কর।’ (সহিহ বুখারী, হাদিস, ২০১৭, সহিহ মুসলিম, হাদিস, ১১৬৯)

বিজ্ঞাপন

আবু বাকরা (রা.)'র কাছে একবার লাইলাতুল কদর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো। তিনি বললেন, আমি লাইলাতুল কদর রমজানের শেষ দশ দিন ছাড়া অন্য কোনো রাতে অনুসন্ধান করব না।

বিজ্ঞাপন

অর্থাৎ, লাইলাতুল কদর প্রতি বছর নির্দিষ্ট একই রাতে হতে পারে বা বিভিন্ন রাতেও হতে পারে। হতে পারে এক বছর ২১ তারিখে, আরেক বছর ২৩ তারিখে এবং অন্য আরেক বছর ২৫, ২৭ বা ২৯ তারিখে। আবার একই বছরেও অঞ্চলভিত্তিক বা ব্যক্তিকেন্দ্রিক একাধিক রাত লাইলাতুল কদর হতে পারে। যেমন বাংলাদেশে ২৭ তারিখ এবং সৌদি আরবে ২৯ তারিখ। প্রকৃত ব্যাপার আল্লাহতায়ালা ভালো জানেন।

লাইলাতুল কদর কত তারিখ এ বিষয়ে ৪০টির অধিক মত রয়েছে। তবে কোরআন ও হাদিসের আলোকে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মত হলো রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতের যে কোনো এক রাতে অর্থাৎ ২১, ২৩, ২৫, ২৭ বা ২৯তম রাতে।

বিজ্ঞাপন

মাসয়ালা : ২৭ তারিখে লাইলাতুল কদর একেবারে সুনির্দিষ্ট- এমন কোনো তথ্য-প্রমাণ নেই। তবে বহুসংখ্যক প্রমাণ রয়েছে যে, ২৭ তারিখে লাইলাতুল কদর হওয়ার সম্ভাবনা সর্বাধিক। একে শুধু সম্ভাবনা হিসেবে গ্রহণ করা যায়, সুনিশ্চিত হিসেবে নয়। সহিহ বোখারি ও সহিহ মুসলিমের একাধিক হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা 'শেষ সাতে' লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান কর। -সহিহ বোখারি: ৩/৪৭, ২০২২

বিজ্ঞাপন

শেষ সাতের দুটি অর্থ একটি হলো, সপ্তম দিনে অর্থাৎ ২৭ তারিখে অথবা শেষ সাতটি রাতের যে কোনো একটি রাতে। মুসনাদে আহমাদে বর্ণিত এক সহিহ হাদিসে (শায়খ আলবানীও সহিহ বলেছেন) আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করতে চায় সে যেন তা ২৭ তারিখে অনুসন্ধান করে। -মুসনাদে আহমাদ: ৮/৪২৬, হা. নং : ৪৮০৮, ১০/৪৯৩, হা. নং: ৬৪৭৪

বিজ্ঞাপন

লাইলাতুল কদরের ইবাদত

এ রাতে বেশি বেশি নফল নামাজ পড়া উচিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি কদরের রাতে ইমান ও ইহতিসাবের সঙ্গে নামাজে দাঁড়ায় তার আগেকার সব পাপ মার্জনা করে দেওয়া হয়। -সহিহ বোখারি: ১/১৬, হা. নং: ৩৫

বিজ্ঞাপন

লাইলাতুল কদরে যা যা করা যায় - নফল নামাজ আদায়, কোরআন তিলাওয়াত, কবর জিয়ারত, তওবা-ইস্তেগফার, জিকির-আজকার, আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা-গবেষণা ও গরিবদের অন্নদান ইত্যাদি।

জেবি/এজে

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD