গুইমারায় হাসপাতাল ও ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দাবিতে মানববন্ধন

গুইমারায় জরুরি স্বাস্থ্যসেবা এবং অগ্নি নির্বাপনের মতো মৌলিক অবকাঠামো না থাকায়, খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় সরকারি হাসপাতাল ও ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণের দাবিতে শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) এক বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
মানববন্ধনে গুইমারার সর্বস্তরের জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির অন্যতম ঐতিহ্যবাহী এই উপজেলায় ২৩৪.৫৬ বর্গ কিলোমিটারের বিশাল আয়তনে প্রায় ৫৩ হাজার ২৫৮ জন মানুষের বসবাস। অথচ এই বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য নেই কোনো সরকারি হাসপাতাল, নেই অগ্নি নির্বাপনের জন্য কোনো ফায়ার স্টেশন।
আরও পড়ুন: পূর্বধলায় ট্রাক–সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ২
মানববন্ধনে বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গুইমারায় কোনো সরকারি হাসপাতাল না থাকায় কেউ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য নিকটস্থ মাটিরাঙ্গা অথবা মানিকছড়ি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রায় ২০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়। এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে দিতে অনেক ক্ষেত্রেই রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে ওঠে, যা প্রায়শই অকাল মৃত্যুর কারণ হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
তারা বলেন, হঠাৎ আগুন লাগলে একমাত্র ভরসা ২০ কিলোমিটার দূরের রামগড় অথবা মাটিরাঙার ফায়ার সার্ভিস। কিন্তু তাদের পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় মুহূর্তের মধ্যে সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
বক্তারা সম্প্রতি ঘটে যাওয়া রামসুবাজারের প্রায় ৭৩টি দোকান এবং জালিয়াপাড়া বাজারের ১৯ টি দোকান ভস্মীভূত হওয়ার ঘটনা তুলে ধরেন।
বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে হাসপাতাল ও ফায়ার সার্ভিসের রূপরেখা না দেখতে পেলে ২০২৬ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
বিজ্ঞাপন
বক্তারা আরও অভিযোগ করেন যে গুইমারা উপজেলায় একটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থাকলেও আজ পর্যন্ত গুইমারাবাসী সেখানে কোনো ডাক্তারের চেহারাও দেখেননি।
তারা হুঁশিয়ারি দেন, আগামী রবিবার থেকে যদি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার না পাওয়া যায়, তবে তাতে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হবে।
বিজ্ঞাপন
মানববন্ধনে উপস্থিত সর্বস্তরের জনগণ সরকারের কাছে অবিলম্বে গুইমারা উপজেলায় একটি পূর্ণাঙ্গ সরকারি হাসপাতাল স্থাপন এবং একটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণের জোর দাবি জানায়।
এ সময় আলাউদ্দিন আরিফের সঞ্চালনায় এবং গুইমারা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মো. ইউসুফ-এর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সাইফুল ইসলাম সোহাগ, মো. মাগফার হোসেন, মাহবুব আলী, মাওলানা ওসমান গণি, বাবলু হোসেন, সাংবাদিক আবদুল আলী, আবুল বাশার, আবু বকর, হরিপদ ত্রিপুরা, পুরহিত স্বপন চক্রবর্তী, বিশ্ব কুমার ত্রিপুরা, আরমান হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম ও চাইলাপ্রু মারমাসহ স্থানীয়রা।









