Logo

মৌলভীবাজারে নার্সারি রেঞ্জ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

profile picture
জেলা প্রতিনিধি
মৌলভীবাজার
২২ নভেম্বর, ২০২৫, ১৩:০৬
26Shares
মৌলভীবাজারে নার্সারি রেঞ্জ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজার সামাজিক বনায়ন নার্সারী ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সিলেট বন বিভাগের রেঞ্জারের রাম কৃষ্ণ ঘোষ অনিয়ম দুর্নীতিতে রেকর্ড করে চলছেন। শেষ পর্যন্ত ফরেস্টের মূল্যবান শাল গাছ বিনা অনুমতিতে সাতক্ষীরা তার নিজ জেলায় একটি অনুষ্ঠানে দান করে দিলেন।

বিজ্ঞাপন

নিজের বিশেষ ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে প্রশংসা কুড়ালেন সাতক্ষীরা জেলাবাসীর। সাংবাদিক জেনে ফেলায় রাজনৈতিক বিভিন্ন নেতার নাম বিক্রি করে ম্যানেজ করতে ব্যর্থ হয়ে বলেন, যত পারেন লিখেন। একেই বলে ক্ষমতার দাপট! বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে এনলাকায় চাঞ্চল্য। তার খুঁটির জোর কোথায়?

জানা যায়, মৌলভীবাজারের বনবীথি একটি আবাসিক এলাকা মৌলভীবাজার সামাজিক বনায়ন নার্সারি সিলেট বন বিভাগের রেঞ্জার রাম কৃষ্ণ ঘোষ এই অফিসে যোগ দেওয়ার পর অনিয়ম আর দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। গত কয়েক মাস পূর্বে তার নিজ বাড়ি সাতক্ষীরা জেলায় একটি অনুষ্ঠানের জন্য তার এলাকার কিছু ব্যক্তি একটি গাছের জন্য আসলে তিনি নিজ দপ্তরের কোন অনুমতি ছাড়া গোপনে অফিসের পাশের একটি মূল্যবান শাল গাছ কেটে দিয়ে দেন। বর্তমানে এর মূল্য হবে অন্তত এক লাখ টাকা। এই গাছের মূল্য কয়েক বছর পর কয়েক লাখ টাকা হতে পারত।

বিজ্ঞাপন

এছাড়াও নার্সারিতে গাছের চারা উৎপাদন করতে সরকারিভাবে ১ লাখ ২০ হাজার উৎপাদন করার অনুমতি থাকলেও তিনি সরকারি ব্যয়ে উৎপাদন করেন ২ লাখের অধিক। এরপর সরকারিভাবে খাতা পত্রে অনেক চারা নষ্ট হয়ে গেছে দেখিয়ে হিসাবে আরও কম দেখান। বিক্রির সময় চারা বিক্রি সরকারি মূল্য ৯ টাকা থাকলেও তিনি বিক্রি করেন ১৫ টাকা। বিক্রির কোনো রসিদও দেন না।

এ সময় খাতা পত্রে সরকারি চারা বিক্রি না দেখিয়ে তার ব্যক্তিগত উৎপাদনের চারা বিক্রি করেন। এছাড়াও তার উপর রয়েছে অসংখ্য অভিযোগ। সামাজিক বনায়নের গাছ মার্কিং করতে তাকে দিতে হয় ঘুষ। নতুবা তিনি মার্কিংএ যান না।

ইদানিং জীবন বীমা কর্পোরেশনে এক কর্মচারীর সামাজিক বনায়নের গাছের বাগান মার্কিং করতে মোটা অংকের ঘুষ নেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা সিলেট রোডে সড়কও জনপথ বিভাগের গিয়াসনগর এলাকায় কিছু গাছ কাটলে ঐ গাছ গুলোর কিছু অংশ এলাকায় বিক্রি করে দেন। বাকি অংশ অফিসে ফেলে রাখেন। শেষ পর্যন্ত গাছের অংশ অফিসে ভেতর রাখলেও তা উইপোকার খাদ্য হয়।

সামাজিক বনায়নের টাকা উঠাতে অনেককে পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। রাজনগর মীরের বাড়ির সৈয়দ রেজাউল হোসেন রাজু সামাজিক বনায়নের টাকা উঠাতে দিনের পর দিন ধরনা দিচ্ছেন তার অফিসে।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে রেঞ্জার রাম কৃষ্ণ ঘোষ সরেজমিনে প্রতিবেদককে বলেন, আমার এখান থেকে সাতক্ষীরা গাছ যাবে কেন। আর গাছ কাটলে আশপাশের বাসার মানুষ জানার কথা। কেউ জানেন। গাছের মুড়া (নিচের অংশ) দেখিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এই ধরনের মুড়া অনেক এখানে আছে।

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো: হুমায়ুন কবির বলেন মৌলভীবাজার থেকে একটি শাল গাছ অবৈধভাবে কেটে সাতক্ষীরা কোনো বাংলাদেশের কোনো মাথায় জানেন অনেক দূরে। এটা কেরিং করা কি সম্ভব কিনা কোনো কাগজপত্রই ছাড়া। এই গাছটির কাটার ৯ মাস ধরে হয়েছে, বিষয়ে কেউ আমাকে বলেনি। শাল গাছের বিষয়টি আমার বিশ্বাস হচ্ছে না। নার্সারির বিষয়টা আমি জানি না তবে আপনি বলেছেন এটা আমার দেখার বিষয়। ভুক্তভোগীর বিষয় কথা বলেছেন আমি তার ফাইলটা দেখে এটা সমাধান করে দেব।

জেবি/এসএ
Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD