মুফতি আমির হামজার দাবি নিয়ে জাবি প্রশাসনের প্রতিবাদ

দেশের আলোচিত ইসলামি বক্তা ও জামায়াতে ইসলামী নেতা মুফতি আমির হামজা দাবি করে বলেছিলেন তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে সকালে শিক্ষার্থীদের ‘মদ’ দিয়ে কুলি করতে দেখেছেন বলে উল্লেখ করেন এই বক্তা। এমন বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে
বিজ্ঞাপন
তবে আমির হামজার এই দাবি ও বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে জাবি বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রশাসন।
রবিাবর (২১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আমির হামজা নামের একজন বক্তার বক্তব্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমির হামজা তার বক্তব্যে দাবি করেছেন, তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন এবং আবাসিক হলে সকালে শিক্ষার্থীদের ‘মদ’ দিয়ে কুলি করতে দেখেছেন।
তিনি আরও বলেছেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা শিক্ষকদের লাঠি দিয়ে পেটায়। প্রকৃতপক্ষে তার কোনো বক্তব্যই সত্য নয়।
জাবি প্রশাসন আরও জানিয়েছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১১ সালে জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ চালু হয়। ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে এই বিভাগে প্রথম শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়। সুতরাং আমির হামজা জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে ভর্তি হওয়ার যে তথ্য প্রকাশ করেছেন, তাও সত্য নয়।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: র্যাগিং সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করল জাবি
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, আবাসিক হলগুলোয় সকালে ‘মদ’ দিয়ে কুলি করার প্রত্যক্ষ করার বর্ণনাটিও তার মনগড়া ও অসত্য। প্রমাণসহ এমন নজির প্রশাসনের কাছে নেই। ছাত্ররা শিক্ষকদের লাঠি দিয়ে পেটানোর তার বক্তব্যটি সত্যের অপলাপ মাত্র।
আমির হামজাকে বস্তুনিষ্ঠ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি বলছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জাতীয় প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে মনগড়া ও উদ্দেশ্যমূলক বক্তব্য শুধু অগ্রহণযোগ্যই নয়, অপ্রত্যাশিত ও সেইসাথে চরম দুঃখজনক। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমির হামজাকে এ ধরনের ভিত্তিহীন বক্তব্য প্রদানে সতর্ক ও বস্তুনিষ্ঠ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।